জানা গেছে, চলনবিন উন্নয়ন কেন্দ্র তিন বছর আগে রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক গ্রামীণ নারীকে নানা হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ দেন। এ কাজে তাদের সহায়তা করে কারিতাস বাংলাদেশ ও বেজ ইন্টারন্যাশনাল। এরপর প্রশিক্ষিত নারীদের ৩২টি গ্রুপে ভাগ করে তাদের দিয়ে তৈরি করানো হচ্ছে কেট বক্স, ডক বক্স, বড় পাতিল, বালতি, হাফ সেলেডার, করাই, ফাইল বক্স, চাকা, কিচেন ডালা সহ হরেক নকশার হস্তশিল্প পণ্য। এসব তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে হোগলা পাতা, সন, তালপাতা, পুরাতন শাড়ী কাপড়। চলনবিন উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে হস্তশিল্প তৈরির কাঁচামাল ও নকশা নারী গ্রুপের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। নারীরা বাড়িতে তাদের গৃহস্থালীর কাজ সেরে দিনভর নিপুন হাতে হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করেন। পণ্য উৎপাদন হয়ে গেলে সংস্থা থেকে প্রতিটি পণ্যর নগদ পারিশ্রমিক দিয়ে নিয়ে যান। বছরজুড়ে এভাবে নারীরা হস্তশিল্প তৈরি করেছেন।
সরেজমিনে রায়গঞ্জের প্রতাপদিঘী গ্রামে দেখা গেছে, গৃহবধূ জাহানারা খাতুনের বাড়ির উঠানে বসে হস্তশিল্পের নানা পণ্য তৈরি করছেন ২২ জন নারী। তারা সবাই নকশা অনূর্যায়ী যার যার মতো পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত।
এ কেন্দ্রের দলনেত্রী জাহানারা খাতুন জানান, তিনি বাড়ির সকল কাজ সেরে এখানে কাজ করেন। একাজে মাসে তিনি ৭-৮ হাজার টাকা আয় করেন। একই কথা জানালেন গৃহবধু হেলেনা খাতুন।
চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এস এম আব্দুল আজিজ জানান, কারিতাশ বাংলাদেশ এবং বেজ ইন্টারন্যাশনাল আমাদের কাছে নকশা ধরে কাজের অর্ডার দেন। এরপর আমরা পণ্য তৈরির জন্য নারীদের কেন্দ্রে কাঁচামাল দিয়ে আসি। তারা সপ্তাহজুড়ে সেগুলো তৈরি করে। আমরা তাদের নগদ পারিশ্রমিক দিয়ে তা সংগ্রহ করি। এরপর খুলনায় কারিতাস এবং বেজ ইন্টারন্যাশনালের কাছে দেই। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানী করেন।
Leave a Reply