তপু রায়হান রাব্বি, ফুলপুর(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ “পলিথিনে আর হবেনা পরিবেশ দূষণ সেই সাথে জমি/ ভূমি নষ্ট, পলিথিন হবে এখন আয়ের উৎস” এমন স্লোগান কে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ৪ নং সিংহেশ্বর ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের হতদরিদ্র সাধু ফকিরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন(২৭) ইউটুবে নওগাঁ জেলার প্লাস্টিক পলিথিন দিয়ে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রটটির ভিডিও দেখে সেও তৈরি করেছেন হুবুহু একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র। এই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে পলিথিন দিয়ে জ্বালানি তেল, পেট্রল, ডিজেল গ্যাস এবং ফটোকপি মেশিনের কালি উৎপাদন করা যায়। স্থানীয়রা জানান এই তৈরি যন্ত্র তে শুধু পরিবেশ দূষণ ও ভূমি বাঁচবে না তৈর হবে আত্মকর্মসংস্থান দূর করে বেকারত্ব।
দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৫দিন ধরে(২৯শে অক্টোবর) আমি এই যন্ত্র দিয়ে জ্বালানি তেল, পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস ও ফটোকপি মেশিনের কালি তৈরি করে আসছে এবং এই তেল দিয়ে আমি বিভিন্ন গাড়ি (টেম্পু) চালিয়েছি, পেট্রোল দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়েছি আর গ্যাস দিয়ে রান্না হচ্ছেই। আমি প্রথমে বোতল এবং রঙ্গের খালি ডিব্বা তারপর একটু বড় দাম তৃতীয়তে তেলের ডাম দিয়ে তৈরি করেছি এই যন্ত্র। যেসব কাগজের পলিথিন ফেলে দিয়ে জমি/ভূমি নষ্ট করে ও পরিবেশ দূষিত করে সেইসব কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয় । ১ কেজি কাগজে সেব মিলে ৭০০ গ্রাম পেট্রোল ডিজেল ও সাড়ে ৪০০ গ্রাম কালি হয় । ডাম ও ফাইব পুরাতন থাকায় বিভিন্ন জায়গা দিয়ে বের হয়ে পড়ে গ্যাস। অর্থ না থাকলেও চেষ্টা আছে এমন একটি বড় যন্ত্র দিয়ে কারখানা তৈরি করার । যদি প্রশাসন দৃষ্টি দেই এবং সহযোগিতা করেন। আমার মনে হয় এই কারখানা তৈরি করলে হাজারো মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, দূর হবে বেকারত্ব ।
৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ময়মনসিংহ-২ ফুলতারা’র গর্ব ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামছুল হক এমপি সাহেবের সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব শরীফ আহমেদ এমপি মহোদয় যদি প্রশাসনের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তাহলে পরিবেশ দূষণ পলিথিন থেকে বাঁচবে ভূমি হবে হাজারো মানুষের আয়ের উৎস ।
Leave a Reply