প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া অনেক জর্ডানের বিমান থেকে ভূপাতিত করা হয়েছে। উত্তর ও মধ্য জর্ডানের আকাশে ইরানের এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
দুটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জেরুজালেমের দিকে ছুটতে থাকা ইরানের ড্রোনগুলোকে জর্ডান উপত্যকার জর্ডানি অংশে দেশটির বিমান ভূপাতিত করেছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়া-ইরাক সীমান্তেও ইরানের অনেক ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সামরিক সূত্রের বরাতে ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, প্রতিশোধমূলক হামলার সময়ে ইসরায়েলের প্রতি জর্ডানের সমর্থনের বিষয়টি নজর রাখছে ইরান। দেশটি ‘পরবর্তী টার্গেট’ হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলে শাস্তিমূলক হামলার সময় জর্ডানের পদক্ষেপ তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। দেশটি যদি ইসরায়েলকে আরও সমর্থন দিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে তারা পরবর্তী টার্গেট হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে অপারেশন ট্রু প্রোমিজ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ইরান। এ প্রতিক্রিয়া সীমিত ও নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি।
এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।
Leave a Reply