প্রতারণা করে প্রভাষক থেকে অধ্যক্ষ, অবশেষে এমপিও স্থগিত
-
Update Time :
বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
-
১২৪
Time View
আলম ফরাজী: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাকচান্দা ফাজিল মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী প্রভাষক মোজাম্মেল হকের অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থানে। আর নিজের মামা অধ্যক্ষ হিসেবে অবসরে চলে যাওয়ার আগেই জাল-জালিয়াতি করে তথ্য গোপন, ভুয়া কাগজপত্র সৃজন এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (সহকারী অধ্যাপক) হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। সেই হিসেবে পদ আঁকড়ে ধরে সকল ধরনের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে চলছিলেন তিনি।
এ ঘটনা ধরা পড়ায় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নিজেদের ওয়েবসাইটে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারিসহ এক বছরে উত্তোলনকৃত সকল অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠির উত্তর না দিয়ে তদবিরে নেমেছিলেন তিনি। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তার এমপিও (মান্তলি পেমেন্ট অর্ডার) বাতিল করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি চিঠি আপলোড করে।মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত বুধবার স্বাক্ষরিক পাঠানো চিঠির অনুলিপি ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী মোজাম্মেল হকের অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থান।
তিনি ছিলেন আরবি বিভাগের প্রভাষক। অন্যদিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন মো. আবুল মনসুর। দুজনে সর্ম্পক মামা-ভাগিনা। সেই সুযোগে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মোজাম্মেল হক জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি গ্রহণ ও দুটি পদের উচ্চতর স্কেলে বেতনভাতা গ্রহণ করেন।
গত বছরের আগস্ট মাসে মোজাম্মেল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে তিনি বেতন-ভাতা ছাড়াও দুই ঈদ বোনাস ও বৈশাখী ভাতাসহ ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৬ টাকা উত্তোলন করেছেন। এই টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে এমপিও বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নত কমিটি সদস্য সচিব মো. আবুল বাসার।
সূত্র: কালের কন্ঠ
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply