‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সশরীরে বা অনলাইনে পরীক্ষা শুরু না হলে কোনো বিভাগীয় প্রধানকে বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমি বেয়াদব হব স্যার, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য আমি বেয়াদব হব।’
অধিকাংশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের অলসতা আর গ্রুপিংয়ের কারণে সেশনজট ও পরীক্ষার রেজাল্ট বিলম্বসহ নানা হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকের একটি ভিডিও ক্লিপ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গ্রুপ ও টাইমলাইনে এই ভিডিও দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাকিবুল হাসান রাকিব উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আপনাদের শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দাবি নয়, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়া হলে কোনো বিভাগীয় প্রধানকে বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি নাও থাকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বেঁচে থাকলে বিভাগের প্রধানদের বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমাদের শিক্ষকরা এ রকম হয়ে গেছেন যে, তাদের ল্যাপটপ কেনার জন্যে এখন টাকা দরকার।
তিনি বলেন, ‘সকল শিক্ষকদের প্রতি আমার সম্মান আছে। কিছুদিন পরে ল্যাপটপের ব্যবহার শেখানোর জন্যে অনেকেই হয়তো বলবে কোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা প্রশাসনকে এখন পর্যন্ত কোনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে দিইনি। বরং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর সঙ্গে প্রশাসনের বোঝাপড়ায় সাহায্য করেছি। আমাদের সম্মান দিয়ে কী হবে, যদি আমরা না বাঁচি। আপনারা আমাদের মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে ঠেলে দিয়ে, আশ্বাসের বুলি শোনান, তাহলে কী করে হবে? আমার কর্মের উপর আমার মূল্যায়ন হবে। আমি সম্মান না রাখলে আমাকে কেউ সম্মান দেবে না। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রশ্নে এখন আর কোনো ছাড় নেই।
এর জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তোমাদের সকল যৌক্তিক। দাবিগুলো আমরা দেখব। তুমি বিভাগের প্রধানদের ঢুকতে দেবে না, এই কথাটা তুলে নাও। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply