পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পলাশ খন্দকারের বাবা ঢাকায় থাকেন। মাদক সেবন করায় পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। গত পাঁচদিন আগে তার স্ত্রী সাথী আক্তার দুই মেয়ে তামান্না (১০) ও আফসানাকে (৫) নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে পলাশ বাড়িতে একা ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচণ্ড গরমে বাড়ির লোকজন উঠানে নেমে আসে। এ সময় পলাশের ঘরে কোনো আলো না দেখে জানালা দিয়ে টর্চলাইটের আলো ফেলে পলাশকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের ওপর পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক মো. ফিরোজ কামাল বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’