শুধু নামের মিল পাওয়ায় কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই গভীর রাতে জোর করে ব্যবসাপ্র তিষ্ঠান ও বসতঘরে প্রবেশ করে পুলিশের একটি দল। এরপর ভুল আসামির ভাইকে নির্মমভাবে মারধর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বেড়া ভেঙে বাসায় ও দোকানে ঢুকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে। পরে ভুল- তাণ্ডব শুরু করে। বোঝাবুঝির অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করলেও আতঙ্কে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
রাতুল ইসলাম জানান, তাঁর এই নামটি জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা থাকলেও তাঁর ডাক নাম রবিন। হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন জানান, শুক্রবার গভীর রাতে একদল লোক দোকানের বাইরে থেকে চিৎকার করে দরজা খুলতে বললেও তাঁরা দরজা খুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না। পরে তারা পুলিশ পরিচয় দিলে তাঁর বড় ভাই তরিকুল ইসলাম ওরফে তোতা (৩২) দরজা খোলার জন্য বাসার ভেতর থেকে দোকানে প্রবেশ করেন। এরই মধ্যে সাদা পোশাকধারী লোকজন প্রবেশপথের বেড়া ভেঙ্গে বাসায় ও দোকানে ঢুকে তান্ডব শুরু করে।
শওকত আলী নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই সময় তিনি দেখতে পান দোকানের ভেতরে তোতাকে চার-পাঁচজন মিলে পেটাচ্ছে এবং আরেকজন গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে রেখেছে।
ভুক্তভোগী তোতা গতকাল রবিবার জানান, তাঁকে মারধরের পর পুলিশ তাঁর একটি মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এতে কিছু টাকা ও রবিনের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। তা ফেরত দিতে সময় নিয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো পরিবারে।
এ বিষয়ে গফরগাও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘পরিবারের কোনো লোককে মারধর করা হয়নি তার পরও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ