রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন গ্রাম্য সালিসকারীরা। আগামী সোমবার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের টিক্কার চর গ্রামে।
জানা যায়, বছরখানেক আগে ওই যুবক গাজীপুরের মাওনা এলাকায় সেলুনের ব্যবসা করতেন। সেখানে প্রবাসীর স্ত্রী পোশাক কারখানার কর্মী ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই তরুণীর দাবি, যুবক এফিডেভিট করে মুসলমান হয়ে তাঁকে বিয়ে করেছেন। পরে বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো সব টাকা-পয়সা ও তাঁর গয়না ওই যুবককে দিয়েছেন তিনি। গত সোমবার স্থানীয় টিক্কার চর বাজারের আল-আমীনের চায়ের স্টলে ওই সালিসে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া মিল্টন, স্থানীয় সালিসকারী মো. মজিবুর রহমান, আব্দুস ছাত্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল ইসলাম, অভিযোগকারী তরুণী, অভিযুক্ত যুবকসহ স্থানীয় লোকজন।
অভিযুক্ত যুবকের দাবি, ওই সালিসে তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ও বৃদ্ধ মা-বাবার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে অভিযুক্ত করে জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী নারী তাঁকে দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে সালিসে জানিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া বলেন, ‘অভিযোগকারী নারী সালিসে বলেছেন ওই যুবককে তিনি বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সা, গয়নাগাঁটি দিয়ে সহায়তা করেছেন। সেই প্রদত্ত জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা হিসাব করে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে।’
সূত্র: কালের কন্ঠ