1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

জাতীয়

শিরোনাম

বিশ্বব্যাংক ৩ প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৩ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ঋণ দেবে

  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১২৮ Time View
ছবি : সংগৃহীত

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দিতে ৩ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (ডলারপ্রতি ১০৬ টাকা হিসাবে) ১৩ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, উদ্যোক্তা তৈরি ও জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করতে ৫০ কোটি ডলার দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে ৫০ কোটি ডলার; ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে আরো ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

 

 

 

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য ৪ বছরের একটি নতুন অংশীদারত্ব কাঠামো (পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়র্ক) তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

 

 

বর্তমানে বাংলাশে বিশ্বব্যাংকের মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সির দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এছাড়া আইএফসির প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প চলমান আছে। সিপিএফ বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এ উপস্থাপিত ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে। এটি আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বৈচিত্র্যময় ও প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত বিকাশে সহায়তা করবে। এছাড়া সবার জন্য সুযোগ সম্প্রসারণে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রচার, জলবায়ু ও পরিবেশগত দুর্বলতা মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুুলায়ে সেক বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু আরো সমৃদ্ধি অর্জন করতে চায়, তাই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও নীতিমালা প্রয়োজন হবে। এই সিপিএফ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সহায়তা করবে। সিপিএফ তৈরিতে সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং অন্য উন্নয়ন অংশীদারসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে দেশব্যাপী ও অনলাইনে পরামর্শ করেছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ।

 

 

 

মাল্টিাল্যাটেরাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সির (এমআইজিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস) জুনায়েদ কামাল আহমেদ বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের। তাও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। তাই এই লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি মূলধন এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে ক্রমবর্ধমান অ্যাক্সেস প্রয়োজন হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান বলেন, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের জন্য অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। দেশটির আরো বৈচিত্র্যময় ও প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতের উন্নয়নে অতিরিক্ত সংস্কার রপ্তানি বৃদ্ধি করবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও প্রশমিত করতে গ্রিন ইনভেস্টমেন্টের জন্য অর্থায়ন ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশকে স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন এবং বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি অর্জনে সহায়তা করতে ৩টি প্রকল্পে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। এই ৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) মোট চলমান কর্মসূচির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে এমআইজিএর বর্তমান কর্মসূচি মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। আইএফসির প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের চলমান প্রোগ্রাম আছে।

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews