ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন সহ পৌর সভা এলাকায় প্রতিদিনেই মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট। আসন্ন ঈদে ক্ষকিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া সহ বিভিন্ন খামারীরা পড়ছে চরম দূভোর্গে। সারাদেশে যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড গড়ছে এমন সময় নজির বিহীন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে নান্দাইল বাসি।
উল্লেখ্য যে, নান্দাইলের এমন পরিস্থিতি এবার নতুন নয়। এই লোডশেডিংয়ের জন্য গত বছর (২০২২) গরমকালে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানববন্ধন সহ বিদ্যুৎ অফিস একাধিকবার ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমের সাথে যতবারেই যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসা করা হয় ততবারেই তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী তিনি বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। যার কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। একই ভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
সারাদেশে বিদ্যুৎ’র উন্নয়ন হলেও নান্দাইলের বিদ্যুৎ বিভাগের পরিস্থিতির কোন রকম উন্নতি হচ্ছে না। বরং দিন দিন বাড়চ্ছে লোডশেডিং। উন্নতির হিসাব করে দেখাযায় গত ৩০ বছরের তুলনায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগে এই দশ বছরে নান্দাইলে গ্রাহক বেড়ে এখন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক হয়েছে। কিন্তু চাহিদার অনুপাতে বিদ্যুৎ সর্বরাহ না থাকায় অতিরিক্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গ্রাহকরা।
পবিত্র রমজানে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ে দেখা মিলেনা বিদ্যুতের। সামনে ঈদ এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্যে। ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনাতো প্রায়ই বন্ধ হওয়ার পথে এবং পল্টি খামারী চরম বেকায়দা পরছেন। ছাত্র/ছাত্রীরা পড়ার সময় সন্ধা থেকে সারা রাত বিদ্যুৎতের দেখা মিলেনা মাসে প্রায় ২০ দিন। এতে করে এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় রীতিমত ধস্ নেমেছে। সকাল ও সন্ধায় কারেন্ট না থাকায় ওরা পড়ার টেবিলে বসার সুযোগও পায়না।
নান্দাইলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে বাকি সময় বিদ্যুৎ বিহিন থাকতে হয় গ্রাহকদের। এদিকে প্রায় সময় রক্ষণাবেক্ষন ও গাছের ডাল-পালা কাটার অজুহাতে সকাল-সন্ধা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। নান্দাইলের সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের নিকট বিদ্যুতের এই অবস্থার পরিবর্তন চান এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোরদাবী জানান।
