রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সবুজায়ন গ্রুপ অপরাজিতার উদ্দ্যোগে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন মেডিসিনাল গাছের চারা বিতরণ পীরগঞ্জে মহিষের গাড়িতে বরযাত্রা বারসিক এর উদ্যোগে খাদ্য নিরাপদ স্বাস্থ্য ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতরা পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নান্দাইলে হক ফাতেমা পাঠাগার পরিদর্শনে উপজেলা একাডেমিক সুপাইভাইজার হরিরামপুরে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন ৫ মেয়র পদপ্রার্থী কেসিসি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে কঠোর প্রশাসন  হরিরামপুরে জনবান্ধব ও জনগনকে সাথে নিয়ে আগামীর পথ চলতে চায় ইউপি সদস্য- মো:লাল মিয়া

৮২৩ বছর আগের মসজিদ কেন্দুয়ায় নামাজ আদায় করতে পারেন ১৭ জন মুসল্লি

জিএসএন নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • Update Time : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৯ Time View

৮২৩ বছরের পুরোনো মসজিদটি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোফাফরপুর ইউনিয়নে হারুলিয়া গ্রামে হারুলিয়া পুরাতন মসজিদ নামে পরিচিত। দিল্লিতে তখন সুলতানদের যুগ। স্থানীয় লোকজন ধারণা, মুঘল আমলে নির্মিত পুরোনো মসজিদটি ইসলামি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। মসজিদটি মুঘলদের রাজত্বকালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির স্নেহধন্য শাইখ মুহাম্মদ ইয়ার নামে এক ব্যক্তি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন হারুলিয়া গ্রামে।

এ মসজিদের ভেতরের দেয়ালে ফার্সিতে লেখা শাইখ মোহাম্মদ ইয়ারের নাম এবং ১২০০ খ্রিস্টাব্দের কথা উল্লেখ থাকায় শাইখ মুহাম্মদ ইয়ারকে এ মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয়। মসজিদটি ৭ শতাংশ ভূমির ওপর নির্মিত। মসজিদের চারকোনায় রয়েছে চারটি পিলার। যার ওপরে কলসির আকৃতিতে গম্বুজের কারুকার্য করা। মসজিদের ছাদজুড়ে বিশাল একটি গম্বুজও রয়েছে।

 

 

মসজিদের নির্মাণশৈলী ও অবকাঠামো পোড়ামাটি, লালি, চুন, চিনি, চিটাগুড়, কষ এবং এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদগুলো মধ্যে হারুলিয়া মসজিদও একটি। মসজিদটির সামনে রয়েছে সুবিশাল জালিয়ার হাওর। হাওর সংলগ্ন এ মসজিদটি মুঘল আমলের মানুষের ইবাদত-বন্দেগি স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে রয়েছে। কেন্দুয়া পৌর শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বদিকে মসজিদের অবস্থান। প্রতিদিন অনেকে মসজিদটি দেখতে আসেন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, মসজিদে দেয়ালে ফার্সিতে লেখা শাইখ মোহাম্মদ ইয়ারের নাম এবং ১২০০ খ্রিস্টাব্দের কথা উল্লেখ করা একটি পাথর ছিল। পরবর্তী সময়ে পাথরটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। বহুকাল আগে নির্মিত মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় মূল অবকাঠামো অক্ষত রেখে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে অংশে ১৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদের সামনের অংশে ছোট্ট একটি চার চালা টিনের ঘর তৈরি করা হয়েছিল।

 

এরপর ওই চার চালা টিনের ঘরটি ভেঙে মানুষের কাজ থেকে সহযোগিতা এনে একটি পাকা বেডিং নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি কোনো সহায়তায় পাওয়া যায়নি। এখন একসঙ্গে অনেক মানুষ নামাজ আদায় করা যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Spread the love
  •  
  •  
  •  

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
raytahost-gsnnews