ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে মৃত তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী বৃদ্ধা আয়েশা আক্তার (৮০)কে তারই গর্ভজাত সন্তান আব্দুস সালাম তার নামে জমি লিখে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় মা বৃদ্ধা আয়েশাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। পুত্রের নির্যাতন সইতে না পেরে একদিন আয়েশা খাতুন তার পুত্র সালামের নামে ৫শতক জমি ঘর তৈরি করার জন্য লিখে দেয়।
কিন্তু সালাম এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে আরও জমি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দেয় ও তার উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে সালামের নেতৃত্বে হুমায়ুন, নাসরিন, আইরিন আক্তার সালমা ও মরিয়ম আক্তার সংঘবদ্ধ হয়ে বৃদ্ধা আয়েশাকে আবারও সালামের নামে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এতে আয়েশা আক্তার রাজি না হওয়ায় তারই পুত্র সালাম মা আয়েশাকে বেদম প্রহার করে গলা ধাক্কা গিয়ে মাঠিতে ফেলে দিয়ে বসত ঘরে প্রবেশ করে আয়েশা আক্তারের ট্র্যাংকের তালা ভেঙ্গে নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এসময় আয়েশাকে বাচাঁতে তার অপর পুত্র সাদেক, এনামুল ও পুত্রবধু নারগিস আক্তার এগিয়ে আসলে আব্দুস সালাম গংরা তাদেরও বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করে।
এব্যাপারে বৃদ্ধা আয়েশা বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। এদিকে উক্ত এজাহার দায়েরের পর আয়েশা আক্তার ও অন্য সন্তানদের অযথা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আব্দুস সালাম তার স্ত্রীকে বাদী করে বিজ্ঞ সিনিয়র সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নান্দাইল আমলী আদালত ময়মনসিংহ মোকদ্দমা নং ৫৮/২০২৩ এবং বিজ্ঞ নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নান্দাইল অঞ্চল আদালত ময়মনসিংহ মোকদ্দমা নং ২০৭/২০২৩ পৃথক পৃথক ভাবে ২টি মামলা দায়ের করে।
এলাকাবাসীরা জানান, বৃদ্ধা আয়েশার বড় পুত্র আব্দুস সালাম সম্পূর্ন অসৎ উদ্দ্যেশে তার বৃদ্ধা মা ও অন্যান্য ভাইদের অযথা হয়রানির উদ্দ্যোশেই এসব মিথ্যা ঘটনা সৃষ্টি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যা সরজমিন যে কোন সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা হলেই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে বলে এলাকাবাসিরা জানিয়েছেন।