ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে দলিল রেজিস্ট্রী না করার জন্য সাব রেজিস্ট্রারের নিকট অভিযোগ করায় অবসর প্রাপ্ত নৌ বাহিনীর পেটি অফিসার আবু ইউসুফ ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগমকে বেদড়ক পিটিয়ে দলিল লেখকদের সামনে মারাত্মক আহত করে। পরে নান্দাইল মডেল থানার পুুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআর অফিসে পৌছে তাদেকে উদ্ধার করে নান্দাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানাগেছে, আচারগাঁও ইউনিয়নের উদং বড় বাড়ি গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দিনের ৪পুত্র ও ৭ কন্যা রেখে তিনি মারাযান। তাদের বাবার রেখে যাওয়া জমি জমা কোন বন্টন বা সুলেনামা দাখিল করা হয় নাই। মাহতাব উদ্দিনের ৩ পুত্র আবুল ফজল, আবু জুবায়ের, আবু তৈয়ব, কন্যা মাসুকা ও তামান্না এরা মিলে আবু ইউসুফের জমি জমা বিক্রি করে দিচ্ছেন। গতকাল ২৩ মার্চ উল্লেখিত ব্যক্তিরা আরও ২০শতক জমি বিক্রি করার জন্য দলিল লেখক মো. এনামুল হকের মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে।
তিনি বিষয়টি জানতে পেরে সাব রেজিস্ট্রারের নিকট দলিল না করার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এসআর অফিস থেকে বের হতেই প্রতিপক্ষরা আবুল ফজল, জুবায়ের, আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আরও অজ্ঞাত ৪/৫জন আবু ইউসুফ ও তার স্ত্রী’র উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। হামলাকারীরা আবু ইউসুফের নিকট থেকে ২০ হাজর টাকা ও জমির দলিলপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। শুক্রবার (২৪ মার্চ) হাসপাতালে গিয়ে আবু ইউসুফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় পাওয়া যায়। আবু ইউসুফ জানান, তিনি সুস্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন।
আবু ইউসুফ আরও জানান, তার ২টি সন্তান মারা যাবার পর থেকে তার আপন ৩ ভাই ও বোনেরা তার সহায় সম্পদ আত্মসাত করার জন্য নানা ধরনের ঘড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। স্থানীয়ভাবে দেন দরবার করা হলেও প্রতিপক্ষ আবু ফজল গংরা তা মানেন না।
নান্দাইল পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার মনিরুজ্জামান মনির ঘটনার সময় সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অন্য কাজে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আবু ইউসুফের উপর হামলার ঘটনাটি দেখেছেন বলে এই প্রতিনিধিকে জানান। এমনকি নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পিছনে বাসায় এসেও হামলা ও হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। অবসর প্রাপ্ত নৌ বাহিনীর এই কর্মকর্তা আবু ইউসুফ পুলিশ প্রশাসন সহ মানবাধিকার সংগঠন সমূহের সহযোগিতা কামনা করেছেন। নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল খায়েস জানান, ভাইয়ে ভাইয়ে ও বোনদের মাঝে জমি জমা নিয়ে ঘটনাটি দুঃখজনক। আমার অফিসের সামনে মারামারি হওয়ায় সরকারী অফিসের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।