মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলাধীন গোয়ালনগর গ্রামের রজ্ববের স্ত্রী গত ২ মার্চ ২০২৩ গলায় ফাঁস নিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাটি প্রাথমিক অবস্থায় হরিরামপুর থানায় রোকসানা বেগম (২৫)’র পরিবার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন রোকসানা বেগমের স্বামী রজ্বব।
ঘটনাটি উদঘাটনের তদারকি করতে যেয়ে সরে জমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রোকসানা বেগমের সাথে ঐ এলাকার রনি (২২) নামের এক যুবকের সাথে বহূদিন পরোক্ষভাবে পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলো। অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, রজ্ববের স্ত্রী রোকসানা বেগম ( ২৫) একই এলাকার মালেক ফকির ও রাহেলা বেগমের পুত্র রনি ফকির (২২) এর সাথে পরকিয়ার ঘটনা স্বামী রজ্বব আলী জানতে পারে এবং এনিয়ে এলাকার শালিস দববারে মাত্ববরা রনিকে রোকসানা বেগমের সাথে মিলামিশা ও সম্পর্ক না রাখার জন্য কড়াকড়ি নিষেধ করেন।কিন্তু তাদেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বামী রজ্বব ও রোকসানা বেগমের ভাই সাংবাদিকদের জানায়, রোকসানা বেগম (২৫) এর মৃত্যুর জন্য স্থানীয় রনি (২২)’র সাথে পরকিয়ার সর্ম্পকের কারনে মারা গেছে। আমরা প্রশাসনের উর্ধতন মহলের কাছে দাবি জানাই, মৃত: রোকসানা (২৫) বেগমের মৃত্যুর রহস্যর দ্রুত উৎঘাটন ও অবিলম্বে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ;দাবী জানান।
মৃত্যুর পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, অত্র এলাকার কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক লোক সহ স্থানীয় চালা ইউপির ৪নং ওর্যাড সদস্য -মো: রায়হান (মেম্বার) রনির পরিবারের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা খেয়ে উল্টা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া সহ বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে রনি’র পরিবারকে সার্পোট দিচ্ছে।
এ বিষয়টি চালা ইউপির চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার ভালোভাবে জানা নেই। এটি সম্পূর্ণ আইনি ব্যাপার। তবে, হরিরামপুর থানার স্টার্ফ আমাকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলেছিলেন।কিন্তু আমি জানি রোকসানা বেগম (২৫) গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। আমি পরকিয়ার বিষয়ে অবজ্ঞত নই।
বিষয়টি নিয়ে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার আদিত্য জানান, মৃত রোকসানা বেগম (২৫)’র পরিবার ও তার স্বামী গত ০২ মার্চ আমাদের থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। মামলাটি এখনো প্রক্রিয়ারধীন রয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছি না। কিন্তু বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চলছে। মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে জড়িত পেলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।