একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ময়মনসিংহ ত্রিশালের মো. হরমুজ আলীসহ পাঁচ রাজাকারের মামলার রায় আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে।
বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ রোববার এ দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।
এ মামলার ৮ আসামির ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে কারাগারে মারা যান তিনজন- জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএ হান্নান, তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ ও মিজানুর রহমান মিন্টু। বাকি তিন আসামি হরমুজ আলী, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও ফখরুজ্জামান পলাতক।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত হত্যা, গণহত্যা. নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ধরনের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা দায়ের করেন। ময়মনসিংহ-১ আমলি আদালতের বিচারক পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন শান্তি কমিটির ময়মনসিংহ শহর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন এমএ হান্নান। তার নির্দেশে রাজাকার কমান্ডার আনিসুর রহমান মানিক, সামসুল হক বাচ্চুসহ পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ত্রিশালের কালির বাজার এবং কানিহারী এলাকায় শতাধিক গণহত্যা, কয়েক কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত করেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তদন্ত সংস্থা আটজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করে।