1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চরফ্যাসনের দুলারহাটে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মানুষ, প্রতিবাদে মিছিল এবং মানববন্ধন হরিরামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ চরফ্যাশনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন তাসের খেলা – কবি মোঃ আবদুল মালেক নান্দাইলে দশদিন ব্যাপী গ্রাম ভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন ॥ নান্দাইলে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত বিএনপি দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী ডাব পাড়তে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পরে সড়ক দূর্ঘটনায় ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির মৃত্যু নান্দাইলের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নাজমুল কুলিয়াচর থেকে নিখোঁজ

জাতীয়

শিরোনাম

রাষ্ট্রভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৬০ Time View
আমাদের ভাষা ও গণতান্ত্রিক সব আন্দোলন-সংগ্রামে বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যক্ষ ভূমিকার বাইরে অপ্রত্যক্ষ ভূমিকাটাও কম গুরুত্বের নয়। বাংলাদেশে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা কম, তাই শিক্ষিতের মর্যাদা বেশি। সম্মান প্রদর্শনের অভ্যাসও এ দেশে পুরনো। বুদ্ধিজীবীদের তাই এ দেশে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান আছে। সে জন্যই দেখা যায় বুদ্ধিজীবীদের ওপর যখন আক্রমণ এসেছে তখন আহত হয়েছে সমগ্র দেশ, বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুরুতে ছিল মূলত ছাত্রদের আন্দোলন; কিন্তু যে মুহূর্তে গুলি চলল ছাত্রদের ওপর, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেমে এলো শিক্ষকদের ওপর, তখনই অবিশ্বাস্য অল্প সময়ের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন লেলিহান গণ-আন্দোলনে পর্যবসিত হলো। তেমনিভাবে উনসত্তরের আন্দোলন তার চরম রূপ পরিগ্রহ করল সেই মুহূর্ত থেকে, যেই মুহূর্তে খবর প্রচারিত হলো যে মিলিটারিরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জোহাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঢাকায় তখন কারফিউ ছিল; কিন্তু ওই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ বের হয়ে এসেছিল রাস্তায়। কেউ তাদের বলেনি বের হয়ে আসতে, ড. জোহাকে তারা জানে না, বিশ্ববিদ্যালয় দূরে থাকুক কোনো বিদ্যালয়েই যায়নি তাদের বেশির ভাগ মানুষ; কিন্তু তবু ড. জোহার হত্যাকাণ্ডের মধ্যে তারা তাদের নিজেদের অপমানকে দেখল—দেখল তাদের নিজেদের অস্তিত্বের ওপর নৃশংস এক আক্রমণ। ফলে আন্দোলন এমন প্রবল হয়ে উঠল যে তার স্রোতে আইয়ুব খান-মোনেম খাঁ ভেসে চলে গেল ক্ষমতার বলয় থেকে এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।

 

 

 

উনসত্তরের আন্দোলনের সময় যারা প্রেস ট্রাস্টের সংবাদপত্র দুটির অফিস পুড়িয়েছে, তাদের অনেকেই হয়তো সংবাদপত্র পড়ে না; কিন্তু তারা জানত সংবাদপত্র দুটি তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। অন্যদিকে সরকার যখন যে পত্রিকার ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছে, তখন সেই পত্রিকাকে জনসাধারণ আদর করে বুকে তুলে নিয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল সেই সময়ে, যখন তার প্রকাশ নিষিদ্ধ ছিল, যখন তার সম্পাদক কারারুদ্ধ ছিলেন। পুস্তক নিষিদ্ধ করার কাজে সরকারের উৎসাহ ছিল; কিন্তু শেষের দিকে সরকার আর নিষেধাজ্ঞা প্রচার করতে সাহস পায়নি, প্রচার করলেও সে নিষেধাজ্ঞা মান্য করা হয়নি।

১৯৭১-এর গণহত্যা যখন শুরু হয় তখন বাংলাদেশের মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি মর্মান্তিকভাবে বেজেছে যে ঘটনা, সেটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকাণ্ড। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে ছিল এই ঘটনার পর নিশ্চিত জেনেছে যে পূর্ণ স্বাধীনতা ভিন্ন অন্য কোনো পথে বাঙালির বাঁচার উপায় নেই।

বুদ্ধিজীবীদের যে অংশ জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারের তাঁবেদার হিসেবে কাজ করেছে, তাদের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা মানুষকে বিক্ষুব্ধ করেছে। ১৯৬৮ সালে অগ্রগতির ১০ বছরের গুণকীর্তন করে যখন প্রায় প্রতিদিন সংবাদপত্রে একটি করে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছিল, যখন প্রতিদিন মস্ত মস্ত ছবি ছাপা হচ্ছিল আইয়ুব খানের, তখন সেই সমারোহ যেমন করে বিদ্বিষ্ট করে তুলছিল পাঠকদের (যার খবর প্রচারকরা রাখত না), তেমনিভাবে প্রলুব্ধ ও স্তাবক বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার বর্ধিষ্ণু সমারোহও ঘৃণার সৃষ্টি করেছিল মানুষের মনে। বিশেষ করে আইয়ুবের রাজত্বকালে, কেননা সেই কালেই উদ্যোগ-আয়োজনটা বেড়েছিল সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ মীরজাফরদের জন্ম যেমন দিয়েছে, তেমনি তাদের ঘৃণা করতেও কার্পণ্য করেনি।

 

 

তার চেয়েও বড় কথা, এই সুবিধাভোগী ও ক্ষেত্রবিশেষে নির্বোধ, বুদ্ধিজীবীদের লেখায়-বক্তৃতায় ফল হয়েছে হিতে বিপরীত। তাঁরা যা ভালো বলেছেন জনসাধারণ নিশ্চিত জেনেছে যে, তা মন্দ না হয়ে যায় না। তাঁরা যার পক্ষে থেকেছেন জনসাধারণ তার বিপক্ষে গেছে। অবশ্য তাঁরা পক্ষে যত না বলেছেন বিপক্ষে বলেছেন তার চেয়ে বেশি, কেননা তাঁদের প্রধান চরিত্র হচ্ছে বর্জনবাদীর। তাঁরা বলেছেন, ইকবাল অতি মহৎ কবি, বাংলাদেশের মানুষ সেই মহত্ত্ব দেখতে পায়নি। তাঁরা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথকে বর্জন করো। যত বলেছেন এই কথা, তত জনপ্রিয়তা বেড়েছে রবীন্দ্রনাথের, তত বেশি দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের মানুষ আঁকড়ে ধরেছে রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ কবি থাকেননি, তিনি জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন, তাঁর গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, বাংলা ভাষাকে ইসলামী করো। যত বলেছেন, তত বেড়েছে সমগ্র বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের প্রীতি ও আকর্ষণ। হরফ বদলানোর পরামর্শ সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁরা বলেছেন, নজরুল ইসলামের সংস্কার আবশ্যক, সাধারণ মানুষ বলেছে, নজরুল ইসলাম আমাদের একান্ত আপনজন। তাঁরা বলেছেন, পুঁথি সাহিত্যই আসল সাহিত্য, সাধারণ পাঠক বুঝে নিয়েছে পুঁথি সাহিত্যের পক্ষে ওই প্রচারে ফাঁকি আছে। মোটকথা তাঁদের কাজ সম্পূর্ণ বিপরীত ফল উৎপাদন করেছে। তার কারণ এই যে সাধারণ মানুষ জানত তাঁরা তাদের স্বার্থের শত্রু, বন্ধু নন। তাঁদের উদ্দেশ্য পশ্চিমাদের শোষণব্যবস্থাটাকে কায়েমি করে রাখা।

 

এভাবে জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন যেসব বুদ্ধিজীবী তাঁরাও নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরোক্ষে জনতার উপকারই করেছেন। জনতার দৃষ্টি খুলে দিতে তাঁরাও সাহায্য করেছেন, এই করে জনতার আন্দোলনকে তাঁরাও এগিয়ে দিয়েছেন।

বুদ্ধিজীবী সমাজের যে অংশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিল, তারা বিবেকবান ছিল সত্য; কিন্তু তারাও আসলে নিজেদের স্বার্থেই কাজ করেছে, তবে তফাত এই যে তাদের স্বার্থকে তারা জনসাধারণের স্বার্থ থেকে ভিন্ন করে দেখেনি। এবং উভয়ের স্বার্থ যেহেতু ছিল এক ও অভিন্ন, তাই তাদের কাজের ফলে জনসাধারণের আন্দোলনের উপকার হয়েছে।

পাকিস্তান আন্দোলনের পেছনে কোনো দার্শনিক প্রস্তুতি ছিল না; যদিও পরবর্তীকালে প্রচার করা হয়েছিল যে বিশিষ্ট জীবনদর্শনের প্রয়োজনেই স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের আন্দোলনও কোনো গ্রন্থপাঠ থেকে শুরু হয়নি। কিন্তু বুদ্ধিজীবীরা এই আন্দোলনে ছিলেন, এই আন্দোলনে তাঁরা সরাসরি নেতৃত্ব দেননি, আন্দোলন যখন এগিয়ে গেছে তখন তার গতির সঙ্গে সমতা রক্ষা করতেও হয়তো তাঁরা পারেননি, পিছিয়ে পড়েছেন, তবু তাঁরা সঙ্গেই ছিলেন, তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় ভূমিকাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভা করে গুলিবর্ষণের নিন্দা করেছেন, ফলে তাঁদের ভেতর থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উনসত্তর ও একাত্তরের আন্দোলনের সময় শিক্ষকরা রাজপথে শোভাযাত্রা করেছেন।

এসব ঘটনা ছোট ঘটনা। কিন্তু এগুলোর তাৎপর্য আছে। তাৎপর্য এই যে বোঝা গেছে বিক্ষোভ সর্বজনীন হয়ে উঠেছে, তার চেয়ে বড় কথা বোঝা গেছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব মানুষ এক হয়ে গেছে। সেই একতার দরুনই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

 

 

বুদ্ধিজীবীদের প্রলোভন দেখানোর কাজ পাকিস্তান সরকার শুরু থেকেই করেছে। উদ্দেশ্যটা সহজ। সরকার চেয়েছে জনসাধারণকে শোষণ করতে বুদ্ধিজীবীরা যদি জনসাধারণের অংশ হয়ে যায়, জনসাধারণের সঙ্গে থাকে, তবে তারা মানুষের চোখ খুলে দিতে পারে, চোখ খুলে দিলে শোষণ করতে অসুবিধা। আর যদি বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে পাকিস্তানের মহিমা প্রচার করানো যায়, তাহলে শোষণ কাজটা আরো নির্বিঘ্নে হতে পারে। বুদ্ধিজীবীদের জীবনে যেহেতু অভাব ছিল সচ্ছলতার এবং লোভ ছিল স্বাচ্ছন্দ্যের, তাই অল্পতেই তাঁরা আকৃষ্ট হতেন। চাকরিতে উন্নতি, পুস্তকের জন্য পারিশ্রমিক পরবর্তীকালে তমঘা ও পুরস্কার, বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ এসবের সাহায্যে জনসাধারণ থেকে বুদ্ধিজীবীদের বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস সরকার করেছে, সক্ষমও হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। বুদ্ধিজীবী সমাজের, লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবহারজীবী তাঁদের মধ্যে বিশিষ্ট যাঁরা, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তাঁদের প্রায় সবার জীবনেই সমৃদ্ধি এসেছে। তাই পাকিস্তানের প্রতি তাঁদের কৃতজ্ঞতাবোধ না থেকে পারেনি, তাঁদের জীবন ও সাধারণ মানুষের জীবন বিপরীত দিকে চলেছে, অনিবার্যভাবেই। তুলনায় যাঁরা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন কম তাঁদের পক্ষেও সরকারি বক্তব্য সমর্থন না করে উপায় থাকেনি। এর কারণ তাঁদের জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাবোধের অভাবটা ছিল আরো বেশি, তাঁরা ভয় পেয়েছেন যে সামান্য ধাক্কায়ই তাঁরা গড়িয়ে পড়বেন নিচের খাদে। এবং ধাক্কার আশঙ্কা সব সময়ই ছিল—সরকার শুধু প্রলোভনই দেখায়নি, ভয়ও দেখিয়েছে। এবং প্রলোভনের তুলনায় ভয় কিছু কম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেনি। ভয়ের জন্য ভুলকে ভুল, অন্যায়কে অন্যায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। মধ্যবিত্তের মনেও অর্থনৈতিক অসন্তোষ ছিল; কিন্তু সেই অসন্তোষ কিংবা তার চেয়েও বড় অসন্তোষ সাধারণ মানুষের অসন্তোষকে উন্মোচিত করার মতো পর্যাপ্ত সাহস বুদ্ধিজীবীদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়নি। ভয়টা কল্পিত ভয় ছিল না। বামপন্থী বলে পরিচিত যাঁরা, প্রয়োজনবোধে তাঁদের কারাগারে নিক্ষেপ করার ব্যাপারে সরকার দ্বিধা করেনি। অন্যদিকে অবাধে চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করার সুযোগ বা স্বাধীনতা কোনো দিনই ছিল না বাংলাদেশে। যেমন—পত্রপত্রিকা প্রকাশের কথা উল্লেখ করা যায়। এমনিতে এই কাজটা দুরূহ ছিল অর্থনৈতিক কারণে। তদুপরি পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে আগে অনুমতি নিতে হতো সরকারের। সরকারের অপছন্দ হলে চালু পত্রিকা যেকোনো সময় বন্ধ করা হতো। সম্পাদককে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার উদাহরণও অজানা নয়।

 

 

জনতার সঙ্গে চলা বুদ্ধিজীবী সমাজ জনতার অগ্রবর্তী অংশ হিসেবেই কাজ করেছে। পাকিস্তানের ব্যর্থতার লক্ষণ প্রথম ধরা পড়েছে তাঁদের কাছেই, পরে তাঁরাই প্রমাণ পেয়েছেন সেই ব্যর্থতার। তাঁরাই বুঝেছেন ভাষার ওপর আক্রমণের অর্থ কী, অর্থনীতির গতি কোন দিকে। সেই জ্ঞানকে তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বাকি কাজটা সাধারণ মানুষ নিজেরাই করেছে। বাংলাদেশকে তারা স্বাধীন করে নিয়েছে নিজের হাতে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews