চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতারণার মামলায় এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত; সঙ্গে পাঠানো হয়েছে তার তিন বছরের শিশুকেও। রোববার (২২ জানুয়ারি) আমলী আদালত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিচারক শিশু সন্তানসহ ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন সন্ধ্যায় মা-মেয়েকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। ওই নারীর নাম শরিফা জাহান। তিনি চাঁপাইনবাগঞ্জ পৌর এলাকার রেহাইচরের মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় কথা হয় শরিফা জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার দুলাভাই তাকে একটি এনজিওর পরিচালনা কমিটির সদস্য করেছিলেন। পরে গ্রাহকদের একাধিক মামলায় তাকেও আসামি করা হয়। রোববার একটি মামলায় তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সে সময় তিন বছরের ওই শিশু তার কোলে ছিল। তার ১০ বছরের আরেক সন্তানকেও মায়ের জন্য আদালত ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

মো. নাসিফ হাসান নামে ওই শিশু জানায়, আমার মা তো কারাগারে যাচ্ছেন। ছোট বোনকেও কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন। তার বাবা কৃষি অফিসে চাকরি করেন বাড়িতে এখন তাকে একা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাহিদ ইসলাম মুন বলেন, কারাগারের পরিবেশ শিশুদের অনুকূলে নয়। ওই পরিবেশ তাদের মনে দাগ কেটে ফেলে। ফলে শিশুরা সেখানকার আচার-আচরণ শিখে নেয়। এতে মানসিক ও শারীরিক দুই ধরনেরই ক্ষতি হয় শিশুদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক দিলীপ কুমার দাস বলেন, রোববার এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশে ওই নারীর সঙ্গে তিন বছরের শিশুকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছোট্ট শিশুদের মায়েদের সঙ্গে কারাগারে পাঠানো হয়। এটাই নিয়ম।