ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম চরে বকুল বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার একদিন পরও মামলা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে মামলা প্রস্তুতি চলছে। জানাযায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের শিকদারের চর এলাকায় ঘরে ঢুকে দুই গৃহিনীকে কুপিয়ে হত্যা করে । স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে । এলাকাবাসী ধারনা করছে ,জমির মালিকানা বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বামী বাচ্চু মেলকার এমনটা করেছেন । এছাড়া এ ঘটনায় বকুল বেগমের বড় বোন মুকুল বেগমকে কুপিয়ে আহত করেছে । আহতকে চরবাসি উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একই এলাকার মৃত শাজাহান সন্দারের জমি এলাকার মালেক মেম্বারসহ বাচ্চু মিলে একটি চক্র জালিয়াতি করে জাল দলিল করে। পরে খাস জমি দেখিয়ে সেই জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় আদালতে দীর্ঘদিন ধরে একটি দেওয়ানী মামলাও চলমান ছিল।
শাহজাহান সন্দারের ছেলে রুবেল সন্দার বলেন, ‘মামলায় পরাজিত হয়ে ২০০৩ সালে বাচ্চু তার বাবা মন্নান মেলকার ও মাকে এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে উচ্চ আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার পর থেকে নতুন ফন্দি করছে বাচ্চু।’ তিনি আরও জানান, নিজের স্ত্রীকে হত্যার আগে বাচ্চু তার মেয়ে ঈষা (১০)কে নিয়ে দুলারহাটে থাকবেন বলে গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এবং সেই রাতে তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বাচ্চু। এখন এই ঘটনায় আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বাচ্চু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার স্ত্রী মামলার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসা যাওয়া করত। এ জন্য তাকে আমাদের প্রতিপক্ষ শাজাহান সন্দার ও স্বপনের ছেলেরা হুমকি দিয়ে ভয় দেখাত।’
গ্রাম পুলিশ অলি আহমেদ বলেন, শুনেছি, বাচ্চু মেলকার বিরোধীও জমিতে খেসারী ডালের বীজ ছিটিয়ে দেওয়ার কারণে শাজাহান সরদারের লোকজন ক্ষেপে যায়। তাই নিয়েই বাচ্চু পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সূত্রপাত।
লারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।’
Leave a Reply