মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রবল বর্ষণ ও সীমান্তের ওপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবারও উপজেলা পরিষদ সহ ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে উপজেলার সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গভীর রাত থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি উপচে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, বনকালি, চতল ও আহম্মদ নগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল, বাগেরভিটা, কান্দুলী, বিলাসপুর ও মাদারপুর এবং কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর চরণতলা, আয়নাপুর, কাংশা গ্রামসহ ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঢলের প্রবল তোড়ে মহারশি নদীর বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে পানি ওঠায় সরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়েও প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ কাঁচা ও পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া গ্রামের দ্বীন এ আমিন বলেন, পাহাড়ি ঢলে তাঁর মুরগির খামারটি ভেসে গেছে। খামারে প্রায় দুই হাজার মুরগি ছিল। এতে তার দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে বৈরাগীপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ঢলের পানির প্রবল তোড়ে তার দুটি আধাপাকা ঘর ভেসে গেছে।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, মহারশি নদীর পানি বেড়ে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিন থেকে চার শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।