চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার ৯ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার করা হাড়গুলোর মধ্যে একটি পায়ের ছোট অংশ। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় রয়েছে। তবে সেগুলো এক ব্যক্তির, নাকি বিভিন্ন ব্যক্তির, তা বোঝা যাচ্ছে না।
সোমবার (১৩ জুন) বিএম কন্টেইনার ডিপোর কর্মীরা অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হওয়া ৫০০ ফুট লম্বা শেডের ভিতর কাজ করতে গিয়ে একটি নতুন দেহাবশেষের পায়ের পোড়া অংশ দেখতে পায়। এনিয়ে মোট লাশের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ জনে।
সোমবার দুপুর ২টার সময় বিএম ডিপোর কর্মীরা লাশের পায়ের পোড়া অংশটি দেখে পুলিশকে খবর দিলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি নতুন একটি লাশের দেহাবশেষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বনিক জানান, দুপুর ডিপোর কর্মীরা একটি লাশের পায়ের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন।
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দুজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।