ময়মনসিংহের নান্দাইলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে খালেদা আক্তার নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
ওই শিক্ষিকার বাড়ি উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে।সে একই ইউনিয়নের কুতুবপুর পিয়ারজান সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্র ও দলিলাদি মর্মে জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর মৌজায় বিআরএস ১৭ নং খতিয়ানে বিআরএস ৫৯৩ নং দাগে ০.৪০ একর ভূমিসহ মোট ১.২৬একর ভূমি আক্তার উদ্দিন ভূইয়ার নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে ।পরবর্তীতে আক্তার উদ্দিন ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তার দুই পুত্র জাহের উদ্দিন ভূঞা ও আঃ মতিন ভূঞা পৈত্রিক সূত্রে মালিক হইয়া বিগত ১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই তারিখে রেজিঃকৃত ৬৩১৯ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে একই গ্রামের মোঃ ইসরাফিলের নিকট বিক্রি করে দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেন। মোঃ ইসরাফিলের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছাঃ হাছেন বানু উক্ত সম্পত্তি স্বামীর হতে ওয়ারিশান মূলে প্রাপ্ত হয়ে বিগত ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ ইং তারিখে রেজিঃকৃত ১৪৭৪ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে পালিত পুত্র মোঃ আব্দুল হাইকে দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেন।
পরবর্তীতে আঃ হাই একই গ্রামের জহির উদ্দিন আকন্দের কাছে ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নান্দাইল সাবরেজিস্টার অফিসে ৬৩৯০ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে ৩০ শতক জমি বিক্রি করে তার দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেন ।
এরপর জহির উদ্দিন আকন্দ নান্দাইল সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদন করতঃ ১৯৫(IX-I)১৮-১৯ নং জমা-খারিজ মোকদ্দমা মূলে ৫৮১নং মিউটেশন খতিয়ান খুলিয়া হাল সাল নাগাদ সরকার নিরূপিত রাজস্বাদী আদায় করে আসছে।
জমি ক্রয়ের অল্প কিছুদিন পরেই হঠাৎ একদিন খালেদা আক্তার তার ভাই জাহের ভূইয়া,মতিন ভূইয়া গংদের নিয়ে জহির উদ্দিন আকন্দের ক্রয়কৃত জমির ১৫ শতক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করিয়া নেয়। যা নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশ দরবারেও নিষ্পত্তি হয়নি।
এবিষয়ে জহির উদ্দিন আকন্দ জানান, আমি বাধ্য হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ দেওয়ানি আদালতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত থেকে উক্ত ১৫ শতক জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারির অর্ডার নান্দাইল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা বাস্তবায়ন করছে না। প্রতিপক্ষ খালেদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক,তারা জনসংখ্যায় অধিক হওয়ায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে, খালেদা আক্তার জানান আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে আপনাদের দেখাতে নিয়ে আসব এই বলে আর কোন যোগাযোগ করে নি।