ময়মনসিংহের নান্দাইলে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরনের ঘটনায় গ্রেফতার মালিক বোরহান উদ্দিন তিন দিনের রিমান্ডের পর আদালতে স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে লাইসেন্স ছাড়াই আতশবাজি কারখানায় চকোলেট বাজি, তারাবাজি ও পটকা তৈরি করতেন বলে স্বীকার করেছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক রাজিব হাসানের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি।
আদালতের পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস বলেন, ২৪ এপ্রিল বোরহান উদ্দিনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ জালাল মুন্সি বলেন, আদালতে বোরহান উদ্দিন স্বীকার করেন, অবৈধভাবে সিস্ফোরক দ্রব্য মজুত রেখে বাজি তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতেন। আতশবাজি তৈরির জন্য কাচাঁমাল ঢাকার চকবাজার থেকে কিনতেন বলেও স্বীকার করেন বোরহান উদ্দিন।
সিআইডির পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, বোরহান উদ্দিন কীভাবে আতশবাজি তৈরি করা শিখেছেন, কার সহযোগিতার কারখানা তৈরি করেছেন এসব বিষয়ে স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এর আগে গত ২০ এপ্রিল ভোরে নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা এলাকার ওই কারখানায় বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার ও আফিয়া খাতুন নামে দুই নারী শ্রমিক মারা যান। ওই দিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় বিস্ফোরক আইন ও হত্যার দুটি মামলা করেন।
পরে ২৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বোরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর আগে মামলা দুটি সিআইডিতে স্থানাস্তর করা হয়। অপরদিকে এলাকাবাসী দুই খুনের সাথে জড়িত কারখানা মালিক বোরহান উদ্দিনের ফাঁসি দাবী করেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
Leave a Reply