ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪মার্চ) দিবাগত রাতে নান্দাইল পৌর সদরের ৬ নং ওয়ার্ডের পুড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পুড়াবাড়িয়া গ্রামের মো.আবুল হোসেন (৫০), তার স্ত্রী মোছা. আসমা খাতুন (৪৫)। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়ঃ সোমবার বিকালে টাকা পয়সা নিয়ে পুড়াবাড়িয়া গ্রামের হাসু মিয়ার পুত্র আবু সাঈদ , মতিন মিয়ার পুত্র মাসুদ মিয়া ও রিপনের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আবুল হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিবে বলে আবু সাঈদ হুমকি দেয়।
এমন ঘটনায় আবুল হোসেন প্রতিবাদ করে যারা যারা মাদক ব্যবসা করে তাদরকেও পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিব বলে বলেন। এ ঘটনার পর রাত ১২ দিকে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আবুল হোসেন কে কথা আছে বলে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ঘরের বাহিরে ডেকে নেয় আবু সাঈদ। বাড়ির পাশে ঝোঁপের ধারে নিয়ে যায়। ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কয়েকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আসমা খাতুন কেও কুপিয়ে জখম করে। তাদের আতচিৎকারে পরিবার ও আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্বামী স্ত্রী উদ্ধার করে নান্দাইল হাসপাতাল পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত আবুল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, তারা মাদকের ব্যবসা করে। আমি প্রতিবাদ করছি বলে রাতের বেলায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রীকে কুপিয়েছে৷ আহত আবুল হোসেনের পুত্র মো. জুবরাজ জানান, আমার বাবা মাকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে তাদের বিচার চাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি এ বিষয়ে বাড়িতে এসে আপনাদের বলবো। শুনলাম অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে মাল জিনিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করে নি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।