1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

জাতীয়

শিরোনাম

ভরাশঙ্খ খালে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যামের সুফল মেলেনি

  • Update Time : বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ১৮৫ Time View

কোনো কাজেই আসেনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৫নং বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাশঙ্খ খালে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হওয়া দেশের সর্বপ্রথম হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম।

উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ড্যামটি নির্মাণের ফলে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া, বারখাইন, হাইলধর, বটতলী, চাতুরী ও সদর ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণসহ প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন বাড়তি ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা  যার বাজার মূল্য প্রায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

তাছাড়া শুকনো মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মে মাস) জোয়ারের সঙ্গে আসা লোনা পানির প্রভাব থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার ফসল ও গাছপালা রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং আনোয়ারা উপজেলায় কৃষি উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

গত ৩ বছরের কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালে আউশ ধান রোপণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে এবং সে মৌসুমে আউশের ফসল উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৫৬৫ মেট্রিক টন। পরবর্তী বছর ২০২০ সালে আউশ রোপণে করা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে এবং সে মৌসুমে আউশের ফসল উৎপাদন হয় ৯ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন। একই বছরের ১১ অক্টোবর এলিভেটর ড্যাম চালু হওয়ার পর ২০২১ সালে ৩ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে আউশ রোপণ করা হয় এবং এই মৌসুমে আউশের ফলন হয় ৬ হাজার ৮১৫ মেট্রিক টন  যা এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করার পূর্ব সময়ের চেয়ে কম।

২০১৯ সালে আমন রোপণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে এবং সে মৌসুমে আমন ফসল উৎপাদন হয় ১৯ হাজার ১৯৪ মেট্রিক টন। পরবর্তী বছর ২০২০ সালে আমন রোপণ করা হয়েছিল ৭ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে এবং সে মৌসুমে আমন ফসল উৎপাদন হয় ২১ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন। একই বছরের ১১ অক্টোবর এলিভেটর ড্যাম চালু হওয়ার পর ২০২১ সালে ৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয় যা বিগত বছরের গুলোর তুলনায় তেমন একটা বেশি না।

অপরদিকে বোরো মৌসুমে এলিভেটর ড্যাম চালু করার পূর্বে ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হলেও এলিভেটর ড্যাম চালু হওয়া পর তা কমে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে নেমে এসেছে। আর উৎপাদন নেমে এসেছে ২৪ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন থেকে ২২হাজার ১০৬ মেট্রিক টনে।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, মাত্র কয়েকমাস হলো আমি এই উপজেলায় আসলাম এখানকার এলিভেটর ড্যাম এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে তেমন ধারণা হয়ে উঠেনি। সরেজমিনে গিয়ে তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন বলেও জানান।

এলিভেটর ড্যামের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজমানুর বলেন, যে ভরাশঙ্খ খালে ড্যামটি নির্মাণ করা হয়েছে সেই খালটির উৎস হচ্ছে মুরলী খাল। যেদিক দিয়ে আসতো মিঠা পানি আর বিপরীত দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগর, সাঙ্গু থেকে আসতো লোনা পানি। তাই ড্যামটির টার্গেট হয়েছিল লোনা পানি আটকে দেওয়া আর মিঠা পানি সংরক্ষণ করা। উপজেলার উত্তর পাশে নয়া রাস্তার মাথায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ভয়ে পাউবো পানি ছাড়েনি যার কারণে মিঠা পানি ভরাশঙ্খ খালে পৌঁছতে পারেনি তাই চাষাবাদে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার ইউএনও একটি কমিটি করেছে যার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে- সময় সময় স্লুইস গেট খুলে পানি আসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মিঠা পানি পাওয়া গেলে চাষাবাদ বৃদ্ধি হবে।

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews