গেল এক বছরে তিন জন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন, তন্মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন।
২০২১ সালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭৯ জন, এর মধ্যে কন্যাশিশু ৬২ জন। এছাড়াও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ২৩৫ জন, যার মধ্যে কন্যাশিশু রয়েছে ৬২৯ জন। সবমিলিয়ে এক বছরে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৩টি কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪টি কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ৬২টি কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ৫টি কন্যাশিশুসহ এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন, এর মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে তিনটি কন্যাশিশুসহ ২৩ জন; এরমধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহিলা পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল বছর ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন। এছাড়াও আটটি কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
ছয়টি কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচার করা হয়েছে।এর মধ্যে দু’জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩২টি কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে; তার মধ্যে একটি কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের আত্মহত্যা করেছে দুই জন।
বিভিন্ন কারণে ১১৪টি কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।এছাড়াও ১৯টি কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১টি কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩টি কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচণার ঘটনা ঘটেছে চারটি। পাঁচটি কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১১ জন।
বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি তন্মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩টি।২৩টি কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এছাড়াও ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
Leave a Reply