১৯৭১ইং সনের ১১ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার মুক্ত হয় নান্দাইল থানা। দেশের মুক্তিকামী হাজার হাজার জনতা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯মাস রক্তয়ী সংঘর্ষের পর ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ইং বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পৃথিবীর মান চিত্রে জায়গা করে নেয়। নান্দাইলের প্রোপটে ১০ই ডিসেম্বর রাতে মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বে নান্দাইল থানাকে শক্রমুক্ত করা হয়। এতে নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এন.এম.এম ফারুক ভূইঁয়া (এমবিএ,এলএলবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
১০ ডিসেম্বর রাতে নান্দাইলে প্রবেশের সময় তাঁর সাথে ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা উসমান গণি ভূইঁয়া, তৎকালীন সময়ের তারণ্য দীপ্ত যুবক এডভোকেট মো. খোরশেদ আলম বাবলু, আবদুল কাইয়ুম, শেখ সাহেদ আলী সহ আরও কয়েকজন বীর মু্িক্তযোদ্ধা। ১০ ডিসেম্বর রাত ১২ টার পর হওয়ায় ১১ ডিসেম্বরকে নান্দাইলবাসী নান্দাইল মুক্ত দিবস বা বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। নান্দাইলবাসী গভীর শ্রদ্ধা সহকারে সেই বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করে থাকে। দিবসটি স্বরণে নান্দাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়।
খোরশেদ আলম বাবলু বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা বারের একজন সম্মানিত আইনজীবি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা এন.এম.এম ফারুক ভূইঁয়া পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে অট্রোলিয়ার প্রবাসী। তিনি নিজ গ্রাম হালিউড়াতে মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্টা সহ ৬০জন দারিদ্র মুসুল্লী ব্যক্তিদেরকে বয়স্কভাতা প্রদান করে আসছেন এবং তাঁর বোন অধ্যাপক ডাঃ বেগম হোসনে আরা শিশু ও পরিবার এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
Leave a Reply