স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে সিআইডি কার্যালয়ে। এই ছয় কর্মচারী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি পদমর্যাদার।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান।
এর আগে এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ক্রাইম সিন ইউনিট। এরই মধ্যে আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে।
করোনাকালে নানাকাণ্ডে আলোচিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘটেছে তুঘলকি কাণ্ড। রাতের অন্ধকারে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গায়েব হয়ে গেছে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি। নিচতলার ২৯ নাম্বার কক্ষে বুধবার রাতে ঘটে এ ঘটনা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হলে রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে তদন্তে নামে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। তারা ২৯ নম্বর কক্ষের প্রতিটি অংশে তল্লাশি চালায়।
জানা যায়, বুধবার রাতে এ কক্ষের লকারে তালাবন্দি করে ফাইলগুলো রেখে যান কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তালা খুলে দেখতে পান ফাইলগুলো গায়েব। এ লকারের চাবি থাকে আরেক কম্পিউটার অপারেটর আয়েশার কাছেও।
কম্পিউটার অপারেটর আশেয়া আক্তার জানান, যাওয়ার আগে ফাইলগুলো রাখা হয়েছে, তখন তিনি দেখেন ১৭টা ফাইল-ই ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সে আসে (জোসেফ)। বেলা ১২টার সময় একটা পত্র নিষ্পত্তির জন্য কেবিনেট খোলেন তখন দেখেতে পান ১৭টা ফাইল নেই। যুগ্ম সচিব প্রশাসন অধি শাখা ক্রয় সংগ্রহ ২, ক্রয় সংগ্রহ অধিশাখা এছাড়াও বিভিন্ন শাখার লোক এখানে বসে একটা রুমের ভেতর। এর আগে একটা ফাইল হারিয়ে ছিল লকডাকউনের আগস্টের মাসের ৮ তারিখে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানান সিআইডির এসপি মো. কামরুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, এখনও কোনো মামলা হয়নি জিডি হয়েছে। ছায়া তদন্ত করা হচ্ছে আর ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটা তদন্তের একটা অংশ। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।