জাপানি দুই শিশু ও তাদের মা-বাবাকে ১৫ দিন একসাথে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাপানি মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বাবা শরীফ ইমরানকে এই কদিন তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে মায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
শুনানির এক পর্যায়ে ওই দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন হাইকোর্ট। তারা বাবার কাছে নাকি মায়ের কাছে থাকতে চায়, সে বিষয়ে বিচারপতিদের খাস কামরায় প্রায় আধাঘণ্টা শিশুদের সঙ্গে কথা বলা হয়। এরপর আদালত বলেন, আমরা চাই শিশুরা পারিবারিক পরিবেশে থাকুক। আপনারা বিষয়টি পজিটিভলি দেখুন।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির জানান, আদালত জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবাকে দুই মেয়েকে নিয়ে দুই সপ্তাহ একসঙ্গে থাকতে বলেছেন। গুলশানের বাসায় তাদের সাথে থাকবেন সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ।
এর আগে দুই মেয়ে শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার জিম্মা চেয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট দুই শিশুকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুসারে দুই শিশুকে মঙ্গলবার আদালতে আনা হয়।
সকাল ১০টার পর সিআইডির তত্ত্বাবধানে দুই শিশুকে আদালতে আনা হয়। শিশু দুটি একে অন্যের হাত ধরে ধীরপায়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করে। তাদের দেখে কিছুটা হতবিহ্বল মনে হচ্ছিল।
শিশু দুটি আসার কিছুক্ষণ পর আদালতে হাজির হন তাদের বাবা শরীফ ইমরান। পরে মা এরিকোও আদালতে হাজির হন। পরে শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক স্বামী শরীফ ইমরানের কাছ থেকে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়ে সন্তানকে ফিরে পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন জাপানি নারী এরিকো।
২২ আগস্ট দুই শিশুকে ইমরানের বারিধারার বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারপর থেকে তারা উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে ছিল।
Leave a Reply