গোয়ালন্দ উপজেলাধীন দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর দেড় সহস্রাধিক বাসিন্দাকে বিশেষ ব্যবস্থায় করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী সংলগ্ন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের গণটিকার আওতায় আনতে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের কোনো টিকা কেন্দ্রে না গিয়ে পল্লীর পাশেই ক্যাম্প করে তাদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে বুধবার থেকে। যৌনকর্মীরা তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসে অনায়াসেই টিকা নিতে পারছেন।
এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে যৌনপল্লীতে কাজ করা কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।
নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন যৌনকর্মী বলেন, বাইরের পরিবেশে গিয়ে সবার সঙ্গে মিলেমিশে টিকা নেয়া আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন ছিল। আমাদের কাছাকাছি পরিবেশে টিকার ব্যবস্থা করাতে এখন সবাই টিকা নিতে পারবে। এর জন্য আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুল হক খান মামুন জানান, অন্যান্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় (যৌনপল্লী) করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। কারণ এখানে একদিকে অত্যন্ত ঘনবসতি, অপরদিকে সারা দেশ থেকে এখানে অসংখ্য মানুষ আসা-যাওয়া করে। কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই অসচেতন। তাই তারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণে তেমন আগ্রহী নয়। এজন্য পল্লীর পাশেই তাদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, টিকার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি সম্পূর্ণ করছে স্থানীয় কয়েকটি এনজিও সংস্থার কর্মীরা। এরপর আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে টিকা প্রদান করছেন।
তিনি আরও বলেন, পল্লীর যেসব বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের টিকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।