চরফ্যাসনে ঘৃর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলায় খোলা আকাশের নিচে অনেকেই বসবাস করছেন। ঝড়ের ৫ দিন কেটে গেল ও স্বাভাবিক হতে পারেন নি ক্ষতিগ্রস্তরা। রান্নার চুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকের ঘর ঠিকমত রান্না চলছে না। এমন একটি মুহুর্তে চর পাতিলায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন দপ্তরের ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন৷
সোমবার (৩১ মে) দিনব্যাপী প্রায় ৫শত পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ৫টন চাল, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন খাবার সামগ্রীর প্যাকেজ, ইউনিসেফ থেকে বালতি, কন্টিনার এবং ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন এর নিজ উদ্যোগে শাড়ি, শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান বিতরন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর পরবর্তীতে চর পাতিলার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। লবনাক্ত জোয়ারের পানিতে চার দিন ডুবে থাকার পর কতদিনে তাদের জীবনমান স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেনা কেউ৷ ঘরবাড়ি, চলাচলের রাস্তা, মাছের ঘের, সবজির খামার, গৃহপালিত পশু কোনটাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি৷ দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব৷ পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার মানুষ৷ মারা যাচ্ছে গরু, মহিষ, ছাগল সহ বনের বিভিন্ন প্রাণি৷
কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন বলেন, আমার এলাকাটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এবং বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারে গ্রাম তলিয়ে যায়৷ তবে এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা অন্য যেকোনো দূর্যোগের চেয়ে অনেকাংশে বেশি৷ বিভিন্ন দপ্তর থেকে যে ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছি তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সমান ভাবে বিতরণ করা হয়েছে৷ তিনি প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এমন দূর্যোগে তাদেরকে একাধিকবার বলার পরেও মাঠে কোন তৎপরতা নেই৷
চরপাতিলার ক্ষতিগ্রস্ত রা জানান, ঝড় এবং জোয়ারে ঘর ভেঙ্গে ঘরের মালামাল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।ঘর তোলার সামর্থ নেই অনেকেরই।
Leave a Reply