জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বলিষ্ঠ কন্ঠ ও বিনয়ী আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল হাসান ভূঞা। ছাত্রলীগের আপোষহীন রাজনীতি থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের একজন সাহসী বিনয়ী নেতা হিসেবে কামরুল সবার কাছেই প্রিয় মুখ। শুধু রাজনীতির মাঠেই নয়, সাহিত্য সংস্কৃতির উঠোনে রয়েছে তার অবাধ বিচরন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবে রাজপথ কাঁপানো কর্মী থেকে নেতা হয়ে সবার মনেই স্থান দখল করে নেন তিনি।
১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দুয়া কলেজ ও উপজেলা শাখার ৩ বারের সাধারন সম্পাদকের বলিষ্ঠ দায়িত্ব পালন করেন। সে সময়ে রাজনীতির মাঠে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সহমর্মিতা ও আন্তরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এক জুটিতে কাজ করেছেন আরেক সাহসী সংগ্রামী নেতা বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র সাবেক ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি মোঃ আসাদুল হক ভূঞা। সচেতন মহলের দাবী তৃণমূল নেতা আসাদুল ও কামরুলের নেতৃত্বে কেন্দুয়া উপজেলার ঘরে ঘরে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন, সে গতিশীল রাজনীতির ধারাকে এখনও কেউ টপকাতে পারেননি।
নব্বই’র স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল যখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন, সে সময়ে তার সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন আসাদুল, কামরুল জুটি। বিগত দিনে অনেক অত্যাচার নিপীড়ন হামলা মামলা সহ্য করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে রাজপথ থেকে কোন দিনই পিছপা হননি কামরুল হাসান ভূঞা। তার বিকল্প তিনি নিজেই। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে কেন্দুয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে রাজনীতির কঠিন লড়াইয়েও থেমে থাকেননি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোণা-৩ আসনের প্রার্থী মনোনয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের মধ্য থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সামনে মাঠের চিত্র ও জনমত তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেদিন তিনি বলেছিলেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে অসীম কুমার উকিল। হয়তোবা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই মতামত প্রাধান্য পেয়েছিল। অপরদিকে কামরুল হাসান ভূঞা বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক অপু উকিলের স্নেহের পরশে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে রাজনীতির মাঠে বিচরন করছেন। তার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নেই।
কামরুল হাসান ভূঞা রাজনৈতিক সংগঠনের বাইরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি পারভীন সিরাজ মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও কেন্দুয়া বাজার কমিটির বর্তমান সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির এই পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চান অনেক দূর।
Leave a Reply