ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নান্দাইল জোনাল অফিস থেকে প্রতিমাসে শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে যে বিল করা হয় গ্রাহকদের তা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে জোনার অফিসে ভিড় করলেও গ্রাহকেরা তেমন কোন সেবা পাছেনা। নানা অজুহাতে গ্রাহকদের বিদায় করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জনবল কম থাকায় মিটার রিডিং বাড়িতে বাড়িতে না গিয়ে অনুমানের উপর বিল করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে প্রতিটা বিদ্যুৎ বিল থেকে ১০টাকা হারে মিটার ভাড়া আদায় করা হছে। গ্রাহকরা জানান একবার মিটার নেবার পর প্রতি মাসে ১০টাকা হারে “কিয়ামত ” পর্যন্ত আদায় করা হবে।
এ ছাড়া প্রতি মাসে ডিমান্ড চাজর্, ভ্যাট, সাভিস চার্জ নামে বিলের অংকের উপর থেকে অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহক মো:এনামুল হক বাবুল জানান তার বাড়িতে ব্যবহৃত একটি মিটার অক্টোরর ২০২০ মাসে ৩৭৪ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখানো হয়। যার হিসাব নং ০৬-৯১৩-১৫২০ এতে বিল করা হয় ২০৯৮ টাকা। সার্ভিস চার্জ ৯০টাকা, ভ্যাট-১১০ টাকা মিটার ভাড়া ১০টাকা সহ ২৩০৮টাকা বিল করা হয়। অতিথের যে কোন বিলের চাইতে দ্বিগুনের উপরে বিল করা হয়। এ বিষয়ে ২রা নভেম্বর জোনাল অফিসে উপস্থিত হয়ে বিল সহ অভিযোগ করলে দায়িত্বরত মহিলা কর্মকর্তা ৭-৫ বুঝিয়ে বিদায় করেন। এ সময় আরও অনেক গ্রাহক অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে অভিযোগ জানান। নান্দাইলের সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকগন লোডসেডিং এর অত্যাচারে জর্জরিত থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত ও ভোতুরে বিলের কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতি খুবই অসন্তোষ্ট রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে জরুরীভাবে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply