ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের আতারামপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক বৃদ্ধ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন ভুইয়া বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় সুশীল চন্দ্র বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের সাথে আপোস ফায়সালাও হয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল সুশীলের চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলে এ ঘটনায় কোন ধরনের অভিযোগ নেই বলে জানায় নিহতের পরিবার। এতে নিহত সুশীল চন্দ্র বিশ্বাসের লাশ দাহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তুু নিহতের পুত্র রিপন চন্দ্র বিশ্বাস ও তার ৪ বোন আপোসের টাকা না পাওয়ায় শনিবার রাতে নান্দাইল মডেল থানায় এসে একই এলাকার শফিকুল ইসলাম শফির বিদেশ ফেরত ছেলে রায়হান মিয়ার নামে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে।
পরে থানা পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে। সরজমিন পরির্দশন করে জানাগেছে, শুক্রবার সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস মধুপুর বাজার থেকে বাড়িতে আসার পথে বাগানবাড়ি নামক স্থানে ইজিবাইক থেকে নামার সময় অপরদিক আসা রায়হান মিয়ার মোটর সাইকেলের নীচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার সকাল ৯টা সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস পরলোকগমন করেন।
সালিশে সভাপতিত্ব করা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, এটা সামাজিকভাবে ফয়সালা করে দিয়েছি। কত টাকা রফা হলো জানতে চাইলে তিনি টাকার অঙ্ক না বললেও সালিশে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করেন। আর এই টাকা আগামী শনিবারের মধ্যে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নান্দাইল মডেল থানার এসআই জালাল উদ্দিন জানান, যেহেতু নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই, তাই আমাদের কিছু করণীয় ছিলনা। এ অবস্থায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে অভিযোগ পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply