নাটোরের বড়াইগ্রামে ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ফুসলিয়ে ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ জুলফিকার আলী সরকার (৫৫) নামের গৃহশিক্ষককে আটক করেছে। রোববার দুপুরে তাকে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।
এর আগে শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা বড়াইগ্রাম থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ বিকেল ৪টায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আটক জুলফিকার উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকশা গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সরকারের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীটি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যখন সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো তখন থেকে জুলফিকার তাকে প্রাইভেট পড়াতেন। তিন বছর ধরে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ওই গৃহশিক্ষক ছাত্রীটিকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গৃহশিক্ষক ফুসলিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ও এর ছবি তুলে রাখেন। পরবর্তীতে এ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহশিক্ষক ছাত্রীটিকে সুযোগ বুঝে মাঝে-মধ্যে ধর্ষণ করতেন। সম্প্রতি ছাত্রীর সাথে জুলফিকারের অশ্লীল একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গৃহশিক্ষক জুলফিকারকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন।
ছাত্রীটি জানায়, অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে গৃহশিক্ষক জুলফিকার কৌশলে আমাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন। তবে জুলফিকার জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুইজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, মেয়েটি নাবালিকা। তাকে ফুসলিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ধর্ষণ করাটাও আইনের চোখে অন্যায়। তাছাড়া মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি তুলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন ঘটনার সত্যতা মিলেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জুলফিকারকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। আটক গৃহশিক্ষককে জেলে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply