ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হযেেছ। ইতিমধ্যে ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, চরহাছিনা চরআলম চননিজাম সহ ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি চর থেকে ১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। এছাডাও, উপকূলের মানুষকে সতর্ক করতে বিভিন্ন এলাকায রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিবির কর্মীরা মাইকিং শুরু করেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় উপকূলের অভিমুখে কিছুটা এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণে ভোলা জেলারসহ উপকূলীয জেলা সমূহকে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
চরফ্যাশন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তামো: রুহুল আমিন জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই দুদফা জরুরী সভা হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলায় ৪ থানায় ১টি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগকে নিন্দেশ দেয়া হয়েছে। নদী ও সাগরে থাকা সকল মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রযে চলে আসার জন্য বলা হযেেছ।
তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে থাকার মতো করে ১শত ৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত ১ লাখ মানুষ আশ্রয নিতে পারবে। এছাডা পর্যাপ্ত আশ্রয়ের সুবিধার্থে উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশ্রয কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সিপিবি ও রেড ক্রিসেন্টের ২ হাজার ৪৭৫ ভলান্টিযার, মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
এদিকে ভোলা জেলার দুরত্বি এক মাত্র ঝুকিপুন্য দ্বীপচর ইউনিয়ন ঢালচরের ৬ হাজার বাসিন্ধাকে ১১টি ট্রলার যোগে পাশবতি ইউনিয়ন চরমানিকার চরকচছপিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড আম্ফান মোকাবেলায ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে ভোলার জেলা প্রশাসন ২শ মেট্রিক টন চাল, ৭ লক্ষ টাকা ও ৩ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেযা হযেেছ বলেও জানান জেলা প্রশাসক। এখানে উল্লেখ্য যে এই প্রথম ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে গবদি পশুর খাদ্যও জন্য বরাদ্ব করা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা , শিশু খাদ্যেও জন্য বরাদ্ব করা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা । বাকি ৩ লক্ষ টাকা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্ররে আশ্রয় নেয়া লোক জনের জন্য খরচ করা হবে ।
Leave a Reply