সূত্র- যুগান্তর:: কাজ না করেই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর কিশোরগঞ্জ-০৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেনের ভাই আনোয়ারের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি মেলে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে দুদকের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধরকে।

চিঠিতে যেসব প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের রেজু মার্কেটের সামনে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ভাগলপুর রশিদ মার্কেটের আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪নং ওয়ার্ডে দরিয়া ঘাগটিয়া গ্রামে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দপত্র, পত্রিকায় টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডারে কারা অংশ নিয়েছে, সিএস (কমপারেটিভ স্টেটমেন্ট), মূল্যায়ন প্রতিবেদন, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারের বিলের কপিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যবলী রয়েছে। এছাড়া পৌরসভার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের নলকূপ স্থাপনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, কারা নলকূপ পেয়েছেন তাদের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, নলকূপ প্রকল্পের বরাদ্দপত্র, পত্রিকায় টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী, মূল্যায়ন প্রতিবেদন, কার্যাদেশের কপিসহ সব তথ্যবলী। এদিকে আরও বেশ কিছু প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সূত্রধর। সূত্র বলছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে পুরো অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মেয়র তার বড় ভাই সরকারদলীয় এমপি আফজাল হোসেনের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ না করেই কোটি টাকা আত্মসাতের মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটায়। এ অভিযোগের ওপর প্রাথমিক অনুসন্ধান চালায় দুদক কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সূত্রধর। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে তিনি যে প্রতিবেদন দাখিল করেন সেখানে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয় তদন্তের অনুমতি দেয়। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।