বর্তমানে জনসংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে এবং ভেজালের মাত্রাও বহগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভেজাল খাবার খেয়ে মরণব্যাধি রোগে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ১৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং মহান সংসদে উত্থাপন করেন ১৫৪ ময়মনসিংহ -৯ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। তিঁনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহতা রোধে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের পদ বৃদ্ধির দাবি জানান। এ বিষয়ে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ কোর্স সম্পন্নকারী মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন,” এই প্রথম মহান সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উত্থাপন করায় মাননীয় এমপিকে ২২০০ জন তিন বছর মেয়াদী স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্নকারীদের পক্ষ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
” তিঁনি আরও বলেন, প্রতি বছর ৭ টি সরকারি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ কোর্স সম্পন্ন করে এখন পর্যন্ত পদায়নের অপেক্ষায় রয়েছে ২২৫০ জন প্রশিক্ষিত জনবল। সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে প্রশিক্ষিত এ জনবল কাজে লাগানো হচ্ছে না পদসৃজনের অভাবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের চাহিদা মোতাবেক আরও ৮০৪ টি নতুন স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের পদ সৃজনের একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রায় দুই বছর পূর্বে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ কোর্স সম্পন্নকারী সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মোঃ শওকত মিয়া বলেন, সাভার উপজেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ৩০ লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য একজন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর কর্মরত। এ উপজেলায় কয়েক হাজার খাদ্য স্থাপনা রয়েছে। একজন স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের পক্ষে বছরে একবারও সব স্থাপনা পরিদর্শন সম্ভব হয় না। তিনি খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত ২২০০ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ কোর্স সম্পন্নকারীদের পদায়নের জন্য প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে ৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের পদ সৃজনের দাবী জানান।
ময়মনসিংহ জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান উদ্দিন আকন্দ সোহাগ বলেন, এসআইটিদের ভাগ্য উন্নয়নে মহান সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উত্থাপন করায় নান্দাইলের গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন’কে ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, “খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহতা রোধ কল্পে প্রতি উপজেলায় ৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দরকার। ”
সূত্র: সোহাগ আকন্দ
Leave a Reply