গত সোমবার দুপুরে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় তাঁর আসল পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেদিন সমন্বয় কমিটির সভা শুরু হওয়ার আগে ইউএনও কার্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন।
পরে ইউএনও কার্যালয়ের নিচে সেচ সংযোগ প্রত্যাশী কয়েক জন বলেন, ‘সেচ কলের বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য গত বছর তাঁরা বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ ইউনিট থেকে প্রাথমিক অনুমতি পত্র নিয়েছেন। এ বছর সেচের বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য অনুমতিপত্র জমা দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু এ বছর বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ ইউনিটে প্রধান কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আজাদ হোসেন জনি আমাদের অনুমতিপত্র গুলো বাতিল করেছেন। টাকা দিলে নতুন করে অনুমতিপত্র দেবেন বলে জানান তিনি। জানা গেছে, অনুমতির জন্য প্রতি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রত্যাশীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা চাওয়া হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে আজাদ হোসেন জনি বলেন, ‘আমি ছাড়া এখানে কেউ নিয়মিত আসেন না। তাই কৃষকদের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে এই পরিচয় দিচ্ছি।’
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সুজন জানান, নান্দাইল বিএডিসি কার্যালয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে একজন অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তিনি গফরগাঁওয়ে কর্মরত।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা তানভীর হাসান মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি ছাড়া এখানে সরকারিভাবে কেউ কর্মরত নেই। জনি আউট সোর্সিংয়ে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। জনির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ