অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, আমিনাবাদ মৌজায় দিয়ারা ১২৬১,১২৫৬,১৭৭৬, ১৬৮২,১৫৭৬ নং খতিয়ানে ২ একর ৮০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন মফু বেপারীগংরা । ১৯৩৭ সনে ২ একর ১৬ শতাংশ জমি খরিদা সুত্রে মালিক হন আদম আলী খানগংরা। গত ১৯৯৯ সনে আদম আলী খানের ওয়ারিশ হয়রত আলী খান স্থানীয় বশরতউল্ল্যাহ জামে মসজিদ ও আমিনাবাদ তাহেরিয়া হাফিজি মাদ্রার নামে ওই খতিয়ানের তাদের খরিদা সম্পত্তি থেকে ৪৮ শতাংশ জমি ১০৮৩ নং দলিল মূলে মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান দলিল দেন।
গত শুক্রবার রাতের আধারে স্থানীয় ইউনুস চকিদারের নেতৃত্বে হারেছ খান, জলিল বেপারী , হারুন, নুরমোহাম্মদ বেপারী, মোঃ বেল্লাল , আবদুল মন্নান, কবির বেপারী ,সালউদ্দিন ও খলিল বেপারীসহ ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র জোরপুর্বক মসজিদের ওই জমিতে বসত ঘর নির্মান করেন। তাদেরকে ঘর উত্তোলনে বাঁধা দিলে স্থানীয় এই সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্রেরা মসজিদ কমিটির লোকজনসহ ভূমির প্রকৃত মালিক আদম আলী খানগংদের উপর হামলা করে মারধর করে আহত করেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা আলী আহমেদ জানান, জমির মালিক হয়রত আলী খান স্থানীয় বশরতউল্ল্যাহ জামে মসজিদ ও আমিনাবাদ তাহেরিয়া হাফিজি মাদ্রার নামে ওই খতিয়ানের তাদের খরিদা সম্পত্তি থেকে ৪৮ শতাংশ জমি ১০৮৩ নং দলিল মূলে মসজিদের নামে দান দলিল দেন।রাতের আধারে স্থানীয় প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা ওই মসজিদের জমি জোড় পূর্বক জবর দখল করে ঘর নির্মান করেছেন। মসজিদের জমি জবর দখলের ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বেপারী তাদের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি জবর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করে বসবাস করছি। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
চরফ্যাসন থানার ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বিস্বাস জানান, মসজিদ কমিটির সভাপতি বাদী হলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।