তপু রায়হান রাব্বি, ফুলপুর(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের লালমা গ্রামের আলহাজ্ব মরোজ আলী ছেলে মোহাম্মদ আলীর ফিসারীতে দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনাটি আজ ৭ ডিসেম্বর রোজ শনিবার ভোর রাতে ঘটে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ১ একর জমিতে ৩ টি পুকুর খনন করে ফিসারী দিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করে আসছিল । ফিসারীর মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, আমার ৩ টি ফিসারীতে শিং মাছ ছিল দেড় লাখ, পাবদা মাছ ছিল ৭৫ হাজার ও বাংলা মাছ ছিল অগনিত ।প্রতিটি বাংলা মাছ প্রায় ২থেকে ৩ কেজি ওজনের। বর্তমানে একটা ফিসারীর আংশিক শিং মাছ ২৪ টায় কেজি হিসেবে ২৫ মন শিং মাছ বিক্রি করি। সারা রাত প্রায় পুকুর পাড়েই ছিলাম কেবল রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মুড়ি ও পানি খাওয়ার জন্য বাড়িতে যাই। একটু পর আমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক ফিসারীতে আসে। এসে দেখে ফিসারীর সব মাছ লাফা লাফি করে ভেসে যাচ্ছে। তখন ফিসারী থেকে চিৎকার দিয়ে বলে কে কোথায় আছ আসলে না দুর্বৃত্তরা আমাদের ফিসারীতে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেছে।
তার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন সহ আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখে সব মাছ মেরে যাচ্ছে । আরো জানান, ফিসারীর পাশে ধান ক্ষেতে থেকে ৩ টি ষ্টিক পাওয়া গেছে । যার মধ্যে থাকে পানির গ্যাসের ট্যাবলেট। সবাই ধারনা করছে অতিরিক্ত এই গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে ফিসারীর পানির গ্যাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেছে ।
এই খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুছ ছালাম মন্ডল, স্হানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, রনি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বিসকা ইউনিয়ন যুব লীগ নেতা সাকির আহমেদ বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সহ এলাকার হাজারো লোকজন ফিসারীর পাড়ে ছুটে আসেন এবং সবাই দুঃখ প্রকাশ করে ফিসারীর মালিক মোহাম্মদ আলীকে সান্তনা দেন ।
ফিসারীর মাছ গুলো জেলে এবং এলাকার শত শত লোকজনের সহায়তায় পুকুর থেকে উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করার ব্যবস্হা করেছেন ।
এ ব্যাপারে তারাকান্দা থানায় জানালে ওসি মোঃ মিজানুর রহমানের নির্দেশে এস আই শাখাওয়াত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সত্যতা যাচাইয়ে ফিসারী পরিদর্শন করেন।
রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা যায় । উল্লেখ্য এবিষয়ে ফিসারীর মালিক ও তার পরিবারের লোকজন পার্শবর্তী একজনকে পূর্বশত্রুতার জেরে এমন কাজ করতে পারে বলে ধারনা করছে। ফিসারীর মালিক সহ সবাই এই নেক্কার জনক মাছ নিধনের সঠিক বিচার দাবি করছেন প্রসাশনের কাছে ।