প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, বাট্টা গ্রামের রোকন উদ্দিন বুরুজ মিয়া আহত রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে এলে চন্দগাতি গ্রামের নাইম নামের এক যুবক ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে রোকন মিয়ার পেটে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আহত রোগীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে চন্দগাতি গ্রামের মুখলেছ মিয়ার ছেলে শহিদ ও মালেক মিয়ার ছেলে আয়নালের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ২ পক্ষের লোকদের সংঘর্ষে পারভীন আক্তার, জাহাঙ্গীর হোসেন, খালেক, আলেছা, কাঞ্চন, কলি ইসলাম, আম্বিয়া, হেলেনা, শহিদুজ্জামান ও আইরিন সহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। এছাড়া চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা মধ্যপাড়া গ্রামে বেলা দেড়টার দিকে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের এনামুল হক বাচ্চু ও আব্দুস সুবহান মাতাব্বরের লোকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে মঞ্জিল, মামুন, কাইয়ুম, জেনিস, হেলাল, সালমা, মোবারক, রাতুল, পুষ্প ও মালেক সহ আরো কয়েকজন আহত হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, আহতদের মধ্যে আশংকা জনক অবস্থায় কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় নারী সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে আশংকা জনক অবস্থায় কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।