মাহমুদুল হাসান কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী মাছিয়ালী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। পৌর শহরের সাবেরুন্নেছা বলিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী পাপিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন তিনি। পাপীয়ার বয়স ১৬ বছর, বাবার নাম এনামুল মিয়া। বিয়ের বয়স না হলেও রেজিষ্ট্রী কাবিন মূলে বিয়ে হয় ওই ছাত্রীর। ২৫ বছর বয়সী বর মাহামুদুল হাসান বিয়ের পর শশুর বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে মনের আনন্দে বেড়াতে আসেন রোববার। কিন্তু স্থানীয় স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে ওই বাল্য বিয়ের খবর পান উপজেলা প্রশাসন। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউ.এন.ও আল ইমরান রুহুল ইসলাম বাল্য বিয়ের বিষয়টি তদন্তে যান। প্রমাণীত হওয়ায় বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ অপরাধের শাস্তি না দিয়ে সামাজিক পরিস্থিতি ও বর কনের সার্বিক পারিবারিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বরকে পাঁচ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বাবার পরিবারে রাখার অঙ্গিকারে মুচলেখা নেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট অন্যন্যাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কাজে সহযোগিতা করেন পুলিশের এস.আই আহাদুল ইসলাম, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির প্রকল্প সমন্বয়কারী চয়ন সরকার , উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মহিউদ্দিন সরকার।