জিএসএননিউজ ডেস্ক: বাস্তব জীবনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অসহিষ্ণু আচরণ, ঘৃণাবাচক বক্তব্য এবং অপতথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। এ জন্য যথাযথ ধর্মীয় বিধান অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখানো ও সহিংসতা রোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আলেম-ইমামদের সমন্বয় প্রয়োজন।

শনিবার আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস উপলক্ষে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য: আলেম-ওলামাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বারিধারায় অ্যাসকট প্যালেসে বেসরকারি সংস্থা মুভ ফাউন্ডেশন ধর্মীয় চিন্তাবিদদের নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে সামাজিক মাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপনা শেখাতে শিক্ষাক্রমে নাগরিকত্ব শিক্ষা ও গণমাধ্যম সাক্ষরতা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও উঠে আসে আলোচনায়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উপস্থিত ইমামরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির অবারিত সুযোগ গ্রহণ করে সমাজে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্য সরকারের জোরালো ভূমিকা কামনা করেন তারা।

পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতা বন্ধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে আলেমদের অংশগ্রহণ বাড়ানো ও সহজ করার পরামর্শ দেন উপস্থিত ইমাম-আলেমরা।

অনুষ্ঠানে জামিয়া আশরাফিয়া মিরপুরের প্রিন্সিপাল মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, আহসানিয়া সুফিজম অব ইন্সটিউটের অধ্যাপক শাইখ উসমান গনি, ধানমণ্ডি তাকওয়া মসজিদের প্রকল্প পরিচালক মাওলানা আবদুল হাফিজ মারুফ, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাজী সানাউল্লাহ ও ইসলাম প্রতিদিন সম্পাদক মাওলানা মিরাজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।