জানাযায়, উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের খুর্শেদ এলিনর বিদ্যা নিকেতন স্কুলের জে.এস.সি পরীক্ষার্থী ছাত্রী আশা, নিজুম, সুর্বণা, স্মৃতি, লিমা ও তন্নি আক্তার বৃহস্পতিবার মুশুল্লী স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অটোবাইক যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় বখাটেদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। কতিপয় বখাটেরা হচ্ছে মুশুল্লী ইউনিয়নের চকমতি গ্রামের চকমতি গ্রামের বুল্টন মিয়ার পুত্র রানা মিয়া, তারেরঘাট গ্রামের শওকত মিয়ার পুত্র সানোয়ার, পাছমুশুলী গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র পিয়েল মিয়া ও অন্তর মিয়া। পরীক্ষার্থীরা মুশুল্লী চৌরাস্তা টু কালিগঞ্জ রাস্তার পল্লী বিদ্যুৎতের সাবস্টেশনের পাশে পৌছা মাত্রই উল্লেখিত বখাটেরা সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ন পরীক্ষার্থীদের গাড়ী রোধ করে গাড়ী হইতে বলপূর্ব নামানোর চেষ্টা করে। এছাড়া ছাত্রীদের কাপড় ধরে টানা হেসড়া সহ নানা ধরনের কুরুচীপূর্ণ কথায় ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করে। একপর্যায়ে অটোচালক রফিকুল ইসলাম তার প্রতিবাদ করায় তাকে এলোপাথারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে খুর্শেদ এলিনর বিদ্যা নিকেতন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনা খাতুন বাদী হয়ে উল্লেখিত বখাটেদের নাম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে শুক্রবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন জানান, তিনি বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপ-পরিদর্শক লিটনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।