গত ৫ নভেম্বর রাত অনুমান ১০টার দিকে মানসিক প্রতিবন্দী ও ভারসাম্যহীন ওই নারী ধর্ষনের শিকার হন। কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া তাকে ধর্ষন করে। কেন্দুয়া সাহিতপুর থেকে রোয়াইলবাড়ি রাস্তা থেকে ওই নারীকে ধরে নিয়ে সাহিতপুর গ্রামের একটি বাড়ির পাশে তাকে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাদশাকে আটক করে এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই আহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদশার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাদশা বর্তমানে নেত্রকোনা কারাগারে রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মানসিক প্রতিবন্দী ও ভারসাম্যহীন ধর্ষীতা ওই নারীর ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম সমাজ সেবা বিভাগের মাধ্যমে পুলিশি প্রহরায় ধর্ষিতা ওই নারীকে গাজীপুর জেলার পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক ও ব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক পুলিশ প্রহরায় শুক্রবার তাকে পূবাইল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।