আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর বিকেলে ঝালকাঠি সদর থানার পোনাবালিয়া উপজেলার ভাওতিতা গ্রামে নাসিমা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়। মৃত নাসিমার সুরাতহাল রিপোর্ট করেন ঝালকাঠি সদর থানার তৎকালিন এসআই টিপু লাল দাস। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর নাসিমার ভাই মো. আলম হোসেন বাদি হয়ে স্বামী রফিক মল্লিক ও দেবর সুলতান মল্লিককে আসামি করে ঝালকাঠি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় এসআই টিপু লাল দাস লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট করায় আদালতের বিচারক একাধিকবার সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষী দিতে সমন প্রদান করেন।
বিচারক গত ১৬ অক্টোবর এসআই টিপু লাল দাসকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে কারন দর্শাতে তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানায় জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার মামলার ধার্য্য তারিখে এসআই টিপু লাল আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় বিচারক এ সাজা প্রদান করেন। এ বিষয়ে উপপরিদর্শক টিপু লাল দাস বলেন, আমি গত বছরের ২৬ মার্চ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা থেকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় বদলী হয়ে আসি। আদালতের সমনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
Leave a Reply