কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক জানান, ১টি পৌরসভা সহ ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ১শ ৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতি ও নিয়মিত স্কুলে আসা যাওয়া করছে কিনা তা তদারকি করতে ৭ জন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার পদ রয়েছে। কিন্তু ৭ টি পদের মধ্যে ৪টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। তাছাড়া ২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ২৯টি সহকারি শিক্ষকের পদও পূরণ করা হচ্ছে না। অফিসের দাপ্তরিক কর্মকান্ড সম্পাদন করার জন্য ইউডিএ দুটি এবং অফিস সহকারি একটি সহ ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। ছাত্র অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই কতিপয় শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদান না করে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দলের পদপদবী নিয়ে সে সব কর্মকান্ডেই ব্যস্ত থাকেন বেশি। যে কারনে এই উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই সুষ্ঠু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তারা না পাচ্ছে সুষ্ঠু পাঠদান এবং না পাচ্ছে তদারকি। শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ৪ সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সহ ৫৪ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় লেখাপড়াতো কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছেই। তবে এসব পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর বার বার চিঠি লিখা হচ্ছে। কিন্তু তেমন কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
Leave a Reply