প্রাপ্ত স্মারকলিপি থেকে জানাযায়, ‘শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পশ্চিম কুচুরী গ্রামে ২০১৭ সালে লাইন নির্মাণ শুরু হয়। একই গ্রামের মৃত শাহ সিরাজ ফকিরের পুত্র মো. মোজাম্মেল হক লালন ফকির ১১৮ জন বিদ্যুৎ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করবে এই কথা বলে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে যার পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হলে পুনরায় প্রতি লাইনে আরো ২ হাজার ৫ শত টাকা দাবী করে। টাকা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবেনা বলে হুমকী প্রদর্শন করে। গ্রাহকরা নিজ নিজ খরচে প্রতিটি বাড়িতে ওয়ারিং এর কাজ সম্পন্ন করে ফাইল পত্র প্রস্তুত করে জামানতের টাকা নিয়ে নান্দাইল বিদ্যুৎ অফিসে যায়। কিন্তুু কর্তব্যরত ওয়ারিং ইন্সপেক্টর মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল হক লালন ফকিরকে সাথে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে ফাইল পত্র জমা নেওয়া হবে না।” প্রতিটি ফাইল ফেরত দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ অবিলম্বে বিদ্যুৎ লাইন চালুর দাবীতে এবং তাদের নিকট থেকে গ্রহনকৃত ৫ লক্ষ টাকা ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারক লিপি প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে প্রদান করে। নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম উত্তম কুমার সাহা জানান, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের নির্দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের নামে টাকা গ্রহনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যুৎ গ্রাহক কবির মিয়া, আরিফ হোসেন, খলিলুর রহমান, হাজেরা খাতুন, আব্দুল মান্নান ভূইয়া, শফিকুল ইসলাম, মুরাদুল ইসলাম সোহাগ, সুলতান মিয়া, রুহুল আমিন, মহসিন মিয়া, জহিরুল ইসলাম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সর্বস্তরের জনগণ যোগদান করেন।