অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ত্রিশালে সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায় ১২জুন ২০০১ সালে ত্রিশালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসাবে জেসমিন সুলতানা যোগদান করেন।দেড়যুগ ধরে একই স্থানে কর্মরত থাকার সুবিধা নিয়ে তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ত্রিশালের সর্বত্রই সকল ছোট-বড় খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, নি¤œমানের ও মান বহির্ভূত খাদ্যপণ্য তৈরি করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি এই কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে তিনি আইনি ফাঁক-ফোকর দেখিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন।
ত্রিশালের সর্বত্র মানহীন খাদ্যপণ্য উৎপাদক, বিক্রেতারা জনসাধারণকে দিন দিন ধোঁকা দিলেও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানার কোনো মাথাব্যথা নেই। ত্রিশালে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর কোন প্রয়োগও নেই । মাঝে মধ্যে ত্রিশালে লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও খাদ্যের নমুনা পরীায় দীর্ঘসূত্রিতা দেখিয়ে তা অঙ্কুরেই ধামাচাপা দেয়া হয় ।
খাদ্য প্রস্তুতকারী রেস্তোরাঁ ও বেকারি পরিদর্শনকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানা মোটা অংকের টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য কারখানা পরিদর্শনে খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহে ঘুষের বিনিময়ে বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসারদের শৈথিল্য প্রদর্শন (ত্রেভেদে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও ফিল্ড অফিসারগণ মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।
অভিযোগ, তিনি আইনের ভয় দেখিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে নমুনা সংগ্রহ এবং ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহার, পরিদর্শন কার্যক্রমে নিজ উদ্যোগে সোর্স নিয়োগ এবং সোর্সদের সুবিধা প্রদানের খরচও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করে থাকেন।
অভিযোগ রয়েছে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীাগার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানার যোগসাজসে ও নমুনা পরীা না করে উৎকোচের বিনিময়ে সনদ প্রদান করে থাকেন।
তার পরিবারের লোকজন জামায়াত সমর্থিত। তারপরও কিভাবে অভিযোগের অন্তহীন পাহাড় নিয়ে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে একই উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন এ প্রশ্ন উপজেলার সর্বত্র।
Leave a Reply