1. admin@www.gsnnews24.com : admin : সাহিত্য বিভাগ
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

জাতীয়

শিরোনাম

দক্ষ বা যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হোক

  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৫২২ Time View

জিএসএন ডেস্ক: মামু অথবা ভগ্নিপতি! একজন থাকলেই ভাগ্য অনুকূলে। এ ধরনের একটি ধারণা নিয়েই আমাদের বসবাস। ধারণাটি এক দিনে গড়ে ওঠেনি। প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে আজ তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। প্র্যাকটিসটা দীর্ঘদিনের। তবে মামু বা ভগ্নিপতির পাশাপাশি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে টাকাও আজ একটি বিশেষ ভূমিকায় নেমেছে। অনেক অদক্ষ বা অযোগ্য—দক্ষ বা যোগ্য হিসেবে বেরিয়ে আসছে এই ত্রিরত্নের বদান্যতায়। বিষয়টিকে সমাজের অবক্ষয়কে দায়ী করছেন অনেকে।

আমরা মনে করি, অবক্ষয় সমাজের নয়, কতিপয় মানুষের। তাদের অনৈতিকতার দায় যখন সমাজের ওপর চাপানো হয়, তখন মনে হয় প্রকৃত বিষয়কে আড়াল করার অপচেষ্টা হচ্ছে। আমরা আরো মনে করি, যারা এই অপচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত, তারাও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষে অবক্ষয়ের একটি কারণ। অবক্ষয়ের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় নিতান্তই নগণ্য। এদের হাতে হ্যান্ডকাফ পরাতে পারলে সামাজিক অবক্ষয়ের মাত্রা অনেকটাই কমতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা পরাবে কে!

ইঁদুরের দেশে বিড়ালের ক্ষমতা অনেক। হাতটাও অনেক লম্বা। আর সে কারণেই হয়তো ঘণ্টা বাঁধার মতো ইঁদুরের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। আর সে কারণেই বিড়াল সম্প্রদায়ের বাড়বাড়ন্ত। দেশের লাভ-ক্ষতিকে এরা তোয়াক্কা করে না। নিজেদের লাভ-ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে এরা ভালোবাসে। মাঝেমধ্যে এদের কিছু নমুনা পত্রপত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়। ইঁদুর সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে চায়ের টেবিল উত্তপ্ত হয়। সম্প্রতি এ রকম একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থে মাঝেমধ্যে বিদেশে ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্যে যেসব সরকারি কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাদের বেশির ভাগই অদক্ষ এবং অযোগ্য। বিষয়টি এতটা নেতিবাচক পর্যায়ে উঠেছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে। মনোনয়নপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দূতাবাস-সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন যেমন বোঝেন না, তেমনি প্রশ্নের জবাবও সঠিকভাবে দিতে পারেন না বলে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, মিথ্যার বাড়বাড়ন্ত নেই। যেটুকু সত্যতা পেয়েছেন, তাতে রীতিমতো বিব্রত হয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। এ ইস্যুতে তারা ক্ষোভ ও উষ্মা প্রকাশে কার্পণ্য করেননি। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামীতে রাষ্ট্রীয় কোনো সফরে সরকারি কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করার আগে তাদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা যাচাই করতে হবে।

সংসদীয় কমিটির এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য মর্যাদায় দেখতে চাই। মামু, ভগ্নিপতি অথবা টাকার মাহাত্ম্যে কোনো অযোগ্য ব্যক্তিকে যেন কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া না হয়। যাকে যেখানে মানায়, তাকে সেখানেই বসানো উচিত। বানরের গলায় মুক্তার মালা বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যার প্রমাণ স্বয়ং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে। শুধু যে এখানেই এ ধরনের অনৈতিকতার প্রচলন রয়েছে, তা নয়। এর শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত।

সম্প্রতি আরো একটি সংবাদ আমাদের মর্মাহত করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তির জন্য কিছু ছাত্রনেতাকে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। কোন শক্তিবলে তারা এখানে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন, কারণ এখনো অজ্ঞাত। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের এই করুণ হাল দেখে অন্যদের কথা আলোচনায় না আনাই ভালো। তবে, আমরা এখনো মনে করি, অনৈতিকতা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন কোনো ব্যাপার নয়। শুধু একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই এর পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, এ সরকারের হাতেই সে পরিবর্তন আসবে।

Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews